৯ অক্টোবর লেখা চিঠিটি ট্রাম্প পাঠিয়েছিলেন সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে সেনা সরানোর পর। তাতে ট্রাম্প সিরিয়ায় অভিযান না চালানোর জন্য তুরস্ককে অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এরদোয়ান সে অনুরোধের কোনো তোয়াক্কাই করেননি।
হোয়াইট হাউজ বুধবার চিঠিটি প্রকাশ করে। চিঠিতে লেখা ছিল, “কঠোর হবেন না। গর্দভ হবেন না।”
চিঠিটি পড়ে এরদোয়ান কঠোরভাবে তা প্রত্যাখান করেন বলে বিবিসি’কে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা। আর সেদিনই সিরিয়ায় কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর বিরুদ্ধে শুরু হয় তুরস্কের হামলা।
ট্রাম্প চিঠিতে এরদোয়ানকে একটি চুক্তি করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন এবং তুরস্ক সিরিয়ায় সামরিক অভিযান চালালে দেশটির অর্থনীতি গুঁড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
এরদোয়ানকে সঠিক এবং মানবিক উপায়ে কাজ করার পরামর্শও চিঠিতে দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি লিখেছিলেন, এভাবে কাজ করলে ইতিহাসে তিনি (এরদোয়ান) স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। আর ভাল কাজ না করলে (এরদোয়ান) ইতিহাসে শয়তান হিসাবেই কুখ্যাত হয়ে থাকবেন।
চিঠিটি পড়ে এরদোয়ান এত ক্ষুব্ধ হন যে, এটি পড়ার পরপরই তা ডাস্টবিনে ছুড়ে মারেন এবং সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করার মধ্য দিয়েই এর জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলে জানিয়েছেন তুর্কি কর্মকর্তারা।
তুরস্কের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইয়েনি সাফাক পত্রিকায় বলেন, “চিঠি পাওয়ার দিনই বিকাল চারটায় সিরিয়ায় ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ শুরু করে তুরস্ক এর স্পষ্ট জবাব দিয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স এখন তুরস্ককে যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশে-বিদেশে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে। সমালোচকদের বক্তব্য, সেনা সরানোতেই তুরস্কের সিরিয়া অভিযানের পথ সুগম হয়েছে।
আঙ্কারা বলছে, তাদের অভিযানের লক্ষ্য হচ্ছে সিরিয়ার ভেতর একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে তুরস্কে থাকা ৩৬ লাখের মতো সিরীয় শরণার্থীকে পুনর্বাসন করা।