এনডিটিভি জানায়, অদম্য এই নারী সোমবার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেন।
সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমাদের কখনো হেরে যাওয়া উচিত না। আমাদের কখনো আশা ছেড়ে দেওয়া উচিত না। যদি আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করি তবে অবশ্যই একবার হলেও আমাদের জীবনে ওই সময় আসবে যার অপেক্ষায় আমরা থাকি।”
নগর প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কর্মব্যবস্থা নিয়ে তিনি একটি পরিকল্পনা সাজাবেন বলেও জানান ৩০ বছরের প্রাঞ্জল।
“আমি মাত্র তিরুবন্তপুরমে বদলি হয়ে এসেছি। আমি একটু সময় নিয়ে আগে এই জেলা সম্পর্কে জানব, বিভিন্ন অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব এবং তারপর একটি কর্মপরিকল্পনা সাজাব।”
মহারাষ্ট্রের উলহাস নগরের মেয়ে প্রাঞ্জল মাত্র ছয় বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান। দৃষ্টিশক্তি না থাকলেও শিক্ষাক্ষেত্রে নিজের মেধার পরিচয় দেন এই নারী।
২০১৬ সালে তিনি ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস (আইএএস) পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ৭৩৩তম হন। সেবার ভারতের রেলওয়ে একাউন্টস সার্ভিসে তার নিয়োগ হয়। কিন্তু ওই নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করে তিনি নিজেকে আরো যোগ্য করে পরের বছর আবার আইএএস পরীক্ষায় বসেন এবং ১২৪তম স্থান লাভ করেন।
তার বন্ধুরা বলেন, কলেজে লেখাপড়া করার সময় প্রাঞ্জল নিজের লক্ষ্যে বদ্ধপরিকর ছিলেন এবং লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতেন।
দৃষ্টিপতিবন্ধীদের স্কুল কমল মেহতা দাধর থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে সেন্ট জাভিয়ার কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে স্নাতক করেন প্রাঞ্জল। জওহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি স্নাতকত্তোর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিরুবন্তপুরমে যোগ দেওয়ার আগে তিনি ইরনাকুলাম জেলায় সহকারি কালেক্টর হিসেবে প্রশিক্ষণকাল শেষ করেন।