গত মাসে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারসহ সৌদি আরবের দুটি প্ল্যান্টে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ওয়াশিংটন এ নিয়ে দুই দফা সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিল।
শুক্রবারের এ ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যের মিত্র দেশটিতে দুটি অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ব্যাটারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাপনা টার্মিনাল হাই অলটিচ্যুড এরিয়া ডিফেন্স সিস্টেম (থাড) পাঠানোর কথাও জানানো হয়েছে।
সেপ্টেম্বরের হামলার সপ্তাহখানেক পরেই ওয়াশিংটন সৌদি আরবে ২০০ সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল; সব মিলিয়ে সেখানে ৩ হাজারের মতো সৈন্য পাঠানো হচ্ছে বলে শুক্রবার পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মার্ক এসপার বলেছেন, ইরানকে নিবৃত্ত করতেই ওয়াশিংটন সৌদি আরবে এ বিপুল পরিমাণ সৈন্য পাঠাচ্ছে।
“ইরানিদের থামাতে, তাদেরকে বার্তা দিতে সৈন্য পাঠানোকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি আমরা,” সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন তিনি।
তেহরানকে উদ্দেশ্য করে মার্কিন এ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, “আর কোনো সার্বভৌম দেশে আঘাত হেনো না, মার্কিন স্বার্থ, মার্কিন বাহিনীকে হুমকি দিও না, সেরকমটা হলে আমরা প্রতিক্রিয়া দেখাবো।”
সেনা মোতায়েনের এ খরচ যুক্তরাষ্ট্র বহন করছে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
“আমার অনুরোধে সৌদি আরব এ সবকিছুর ব্যয় নির্বাহে রাজি হয়েছে,” বলেছেন তিনি।