আলোচনায় অগ্রগতি, চীনা পণ্যে শুল্কবৃদ্ধি স্থগিত করলেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ২৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব স্থগিত করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Oct 2019, 04:54 AM
Updated : 12 Oct 2019, 04:54 AM

ওয়াশিংটনে দুইদিনের আলোচনা শেষে দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা ‘প্রথম পর্বের চুক্তিতে’ উপনীত হয়েছে জানিয়ে শুক্রবার তিনি শুল্কবৃদ্ধি স্থগিতের এ ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মঙ্গলবার থেকেই ২৫ হাজার কোটি ডলারের ওই চীনা পণ্যগুলোতে বাড়তি শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

ট্রাম্প জানান, ‘প্রথম পর্বের চুক্তি’ অনুযায়ী চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাড়তি কৃষিপণ্য কিনতে রাজি হয়েছে। আলোচনা হয়েছে অর্থনৈতিক সেবা ও প্রযুক্তি চুরি নিয়েও।

“আমরা একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছি, এখন কেবল তা লেখা বাকি,” দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা এখন চুক্তির অন্যান্য পর্ব নিয়ে আলোচনা করবেন বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রয়টার্স বলছে, দুই পক্ষের শুক্রবারের ঘোষণায় চুক্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।

চুক্তিটি লেখা হতে হতে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ও লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। ডিসেম্বরে চিলিতে জাতিসংঘের এক শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিটি স্বাক্ষর করবেন বলেও আশাবাদী তিনি।

চীনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী লিউ হে ওয়াশিংটনে দুই পক্ষের আলোচনার অগ্রগতিতে ‘সন্তুষ্ট’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।

“অনেক ক্ষেত্রেই উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি হয়েছে, আমরা খুশি। আরও সমঝোতার চেষ্টা চালিয়ে যাবো আমরা,” বলেছেন তিনি।

মার্কিন প্রধান মধ্যস্থতাকারী রবার্ট লাইটিজার পরে জানান, অক্টোবরের প্রস্তাবিত শুল্কবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত স্থগিত হলেও মার্কিন প্রশাসন ডিসেম্বর থেকে আরও যেসব চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে, তা নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

ট্রাম্পের ভাষায় এ ‘প্রথম পর্বের চুক্তি’ বছরখানেকেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র-চীন পাল্টাপাল্টি শুল্ক আরোপের ঘোষণায় অস্থির বিশ্ববাজারে খানিকটা স্বস্তির পরশ দেবে বলে মনে করছেন মার্কিন ব্যবসায়ীরা। তবে চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগ পর্যন্ত পুরোপুরি আশাবাদীও হওয়া যাচ্ছে না, বলেছেন তারা।

“প্রেসিডেন্ট যা ঘোষণা করলেন, তাকে চুক্তি বলা ন্যায্য হবে কিনা তা নিশ্চিত নই আমি। তারা যদি ভাষা নিয়েও একমত না হয়, তার অর্থ হচ্ছে চুক্তি এখনো হয়নি। চুক্তির আশাবাদ মানেই চুক্তিটি হয়ে যাওয়া নয়। এটা এমনকি হাড্ডিসার কোনো চুক্তিও নয়, অদৃশ্য কিছু,” বলেছেন ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের চীন বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ স্কট কেনেডি।