ধৈর্যের সীমা আছে: উত্তর কোরিয়া

কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রকে দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে অনুরোধ জানানো উত্তর কোরিয়া বলেছে, তাদের ধৈর্য অসীম নয়।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2019, 09:54 AM
Updated : 10 Oct 2019, 09:54 AM

ওয়াশিংটনের আস্থা অর্জনে এতদিন যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, পিয়ংইয়ং চাইলে তার উল্টো পদক্ষেপ নিতে পারে বলেও সতর্ক করেছে তারা। 

বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের বিবৃতিতে এসব বলা হয়েছে দেশটির রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াকে অস্ত্র কর্মসূচি বিসর্জনের যে আহ্বান জানিয়েছে মুখপাত্র তারও সমালোচনা করেছেন। নিরাপত্তা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারও নিন্দা জানিয়েছে।

মঙ্গলবার পরিষদের ৫ ইউরোপীয় দেশের এক বৈঠকে উত্তর কোরিয়াকে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ‘পূর্ণাঙ্গ, যাচাইযোগ্য ও অপরিবর্তনীয় উপায়ে’ বিসর্জনে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।

পিয়ংইয়ং সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সফল পরীক্ষা চালানোর কয়েকদিন পর দেশগুলো এ আহ্বান জানায়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা শুরু করলেও উভয়পক্ষের অনমনীয় অবস্থানের কারণে তা এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট রূপ পায়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সিঙ্গাপুর বৈঠকের পর এশিয়ার দেশটি তাদের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র ধ্বংসও করে।

দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক দফা বৈঠক হওয়ার পরও উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে দুই দেশের অনড় অবস্থানের কারণে আলোচনা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। 

“ধৈর্যের সীমা আছে এবং আমাদের এ সংযত ভাব অনির্দিষ্টকালের জন্য চালাতে হবে এমন কোনো আইন নেই,” বলেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই মুখপাত্র।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার আত্মরক্ষার অধিকারে হস্তক্ষেপ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

উত্তর কোরীয় এ কর্মকর্তা চলতি মাসে মার্কিন বিমান বাহিনী যে মিনিটম্যান থ্রি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে তার কথাও উল্লেখ করেন।

“যুক্তরাষ্ট্রের এ পরীক্ষা যে আমাদের ওপর চাপ দেয়ার জন্য করা হয়েছে, তা স্পষ্ট,” বলেছেন তিনি।