সিরিয়ায় সামরিক অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক

সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের সেনারা অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। এ অভিযানকে বলা হচ্ছে ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’।

>>রয়টার্স
Published : 9 Oct 2019, 02:54 PM
Updated : 9 Oct 2019, 03:30 PM

বুধবার এরদোয়ান বলেন, সিরিয়ার কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া এবং জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হুমকি দূর করে তুরস্কে আশ্রয় নেওয়া সিরীয় শরণার্থীদের দেশে ফেরানোর জন্য একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠন করাই এর লক্ষ্য।

কুর্দি-নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) জানিয়েছে, বেসামরিক নাগরিকদের এলাকাগুলোতে জঙ্গিবিমান হামলা চালিয়েছে তুরস্ক।

সীমান্ত শহর রাস আল-আইনে কয়েকটি বিস্ফোরণেরও খবর পাওয়া গেছে। তুরস্ক সরকার সীমান্তে কুর্দি মিলিশিয়াদের হটিয়ে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়তে চায়। এই কুর্দি বাহিনীকে তুরস্ক সন্ত্রাসী বলেই গণ্য করে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান এক টুইটে বলেছেন, “আমাদের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তজুড়ে সন্ত্রাসীদের করিডোর রুখে দিয়ে ওই এলাকায় শান্তি ফেরানোই মিশনের লক্ষ্য। এতে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখন্ডতা অটুট থাকার পাশাপাশি স্থানীয় সম্প্রদায়গুলোও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত হবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে তুরস্কের এ অভিযান শুরু হল।

এরদোয়ানের ঘোষণার পর সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেস (এসডিএফ) যুক্তরাষ্ট্র এবং আইএস বিরোধী জোটকে ওই এলাকায় সাধারণ মানুষের ওপর হামলা ঠেকাতে একটি উড্ডয়ন নিষিদ্ধ এলাকা গড়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

সিরীয় কুর্দি বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র বাহিনী। তারা জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করতে মার্কিন বাহিনীকে সহায়তা করেছে। কিন্তু তুরস্কের অভিযান শুরুর আগে যুক্তরাষ্ট্র এ অভিযানে জড়িত হতে চায় না জানিয়ে সিরিয়া থেকে সেনা সরিয়ে নেয়।

সিরীয় কুর্দি নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের হঠাৎ সেনা প্রত্যাহারের এ সিদ্ধান্তকে পিঠে ছুরি মারার সামিল বলে নিন্দা করেছেন। তাছাড়া, দেশে-বিদেশেও যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।

তবে এসব সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অভিযানের নামে তুরস্ক ‘সীমার বাইরে’ কিছু করলে তাদের অর্থনীতি পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন।