জার্মানির দৈনিক বিল্ড পত্রিকা জানায়, ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগের সামনে এ গুলির ঘটনা ঘটে। তাছাড়া, ইহুদিদের একটি সমাধিস্থলের দেয়ালে হাতগ্রেনেড ছোড়ার ঘটনাও ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সামরিক পোশাক পরা এক বন্দুকধারী হামলা চালায়। তার হাতে কয়েকটি অস্ত্র ছিল। বন্দুকধারী এসাল্ট রাইফেল দিয়ে একটি কাবাবের দোকানেও গুলি চালায় বলে জার্মান এন-টিভি নিউজকে জানিয়েছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, “ওই ব্যক্তি ডুনা কাবাব শপের কাছে এসে গ্রেনেডের মত একটি জিনিস ছুড়ে মারে। তবে সেটি বিস্ফোরিত হয়নি। এরপরই শুরু হয় গুলি ছোড়া। আমার পেছনের ব্যক্তিটি নিশ্চয়ই মারা গেছেন। আমি টয়লেটে লুকিয়েছিলাম।”
জার্মানির গণমাধ্যমে হ্যাল শহরে সিনাগগের কাছে গুলি চলেছে বলে জানানো হলেও ঘটনার বিস্তারিত নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
বুধবার ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে পবিত্র দিন ‘ইওম কিপুর’ পালনের সময়ই এ হামলা হল।
স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে এক টুইটে বলা হয়েছে, “প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, হ্যাল শহরে দুইজন নিহত হয়েছেন। সেখানে আরো বেশ কয়েকটি গুলি চলেছে।”
হামলার পর সতর্কতা অবলম্বনের জন্য পুলিশ এলাকার বাসিন্দাদের ঘরের ভেতর অবস্থান করার পরামর্শও দিয়েছে। পুরো এলাকায় পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
এ হামলার পর হ্যাল নগরীর প্রধান ট্রেন স্টেশনে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জার্মানির ইহুদি বিদ্বেষ এখনো একটি সংকট হয়ে আছে। জার্মান সরকার এ সংকট থেকে উত্তরণের চেষ্টাও চালিয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি দূর হয়নি ইহুদিবিদ্বেষ।
এর আগেও ইহুদিদের ওপর বেশি কিছু হামলার ঘটনা ঘটেছে। এমনকী মাথার তালুতে টুপির মত ঐতিহ্যবাহী কিপ্পাহ পরার জন্যও সাম্প্রতিক সময়ে হুইদিরকে কটুক্তি শোনা এবং হামলার শিকার হতে হয়েছে।