হংকংয়ে জরুরি আইন জারির পরিকল্পনা নেই: ক্যারি লাম

মুখোশ নিষিদ্ধের জেরে হংকংয়ে বিক্ষোভ যখন জোরাল হচ্ছে তখন প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম বলেছেন, ঔপনিবেশিক আমলের জরুরি আইন জারির কোনো পরিকল্পনা এই মুহূর্তে তার সরকারের নেই।

>>রয়টার্স
Published : 8 Oct 2019, 09:13 AM
Updated : 8 Oct 2019, 09:13 AM

চার মাসের টানা সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমাতে গত শুক্রবার হংকং সরকার ঔপনিবেশিক আমলের জরুরি আইনের আওতায় বিক্ষোভ-সমাবেশে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করে। যা শনিবার থেকে কার্যকর হয়।

তার প্রতিবাদে পরদিন রোববার হংকংজুড়ে নতুন করে গণবিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় পর আবারও জরুরি আইন ব্যবহার করায় লাম সরকারের সমালোচনাও হয়েছে।

মঙ্গলবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে লাম টানা নৃশংস বিক্ষোভের কারণে হংকংয়ের অর্থনীতিতে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, “হংকংয়ে গোল্ডন উইক হলিডে চলছে। অথচ অক্টোবরের প্রথম ছয় দিনে পর্যটক সংখ্যা ৫০ শতাংশের বেশি পড়ে গেছে। ফলে বিপণন, ক্যাটারিং, পর্যটন এবং হোটেল ব্যবসা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যার প্রভাব পড়ছে প্রায় ছয় লাখ মানুষের উপর।” 

প্রতিবছর ১ অক্টোবর চীনে জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। এদিন সাধারণ ছুটি থাকে। অন্যান্য বছর এই সময়ে হংকংয়ে পর্যটকদের ঢল নামে।

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্য নগরীর অর্থনীতিতে গত এক দশকের মধ্যে প্রথমবার মন্দাভাব দেখা দিয়েছে।

বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর হংকং পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের নিয়মিত সংঘর্ষ হলেও রোববারই প্রথম সেখানে নিযুক্ত চীনা সেনাদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সম্প্রতি চীন গোপনে হংকংয়ে তাদের সামরিক সক্ষমতা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে বলে দাবি বিভিন্ন বিশ্লেষকদের। যদিও চীন তা অস্বীকার করেছে। 

তবে লাম বার বারই বলছেন, হংকংয়ে বর্তমানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার সরকারেরই আছে।

বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন মেট্রোস্টেশনে ভাংচুর করার কারণে হংকংয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বেশ বিঘ্ন ঘটছে। মঙ্গলবারও নগরীর রেল ব্যবস্থা আংশিক সচল।