দেশটির মুসলমান অধ্যুষিত ইয়ালা প্রদেশের রাজধানী ইয়ালায় শুক্রবার বিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
আদালতে বিচারপতি খানাকর্ন পিয়ানচানা ওই পাঁচ মুসলমান আসামিকে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস দেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, বেআইনি কর্মকাণ্ড এবং অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগ ছিল।
রায় ঘোষণার পর বিচারপতি পিয়ানচানা ফেইসবুক লাইভে একটি আবেগপূর্ণ বক্তৃতা দেন বলে জানায় বিবিসি।
সেখানে তিনি বলেন, “কাউকে শাস্তি দিতে আমাদের স্পষ্ট এবং যাথাযথ প্রমাণের প্রয়োজন হয়। তাই যদি আপনি নিশ্চিত না হন তবে তাদের শাস্তি দেবেন না।
“আমি বলছি না যে, ওই পাঁচ বিবাদী অপরাধ করেননি, হয়ত তারাই ওই অপরাধ করেছেন। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য হওয়া প্রয়োজন। ভুল মানুষকে শাস্তি দেওয়ার অর্থ তাদের বলির পাঁঠা বানানো।”
তারপরই ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ লাইভটি বন্ধ করে দেয় বলে জানায় বিবিসি।
তবে আদালতে ওই সময়ে উপস্থিত কয়েকজন বিবিসিকে বলেন, তারপর বিচারপতি কিছু শপথ বাক্য উচ্চারণ করেন এবং একটি পিস্তল বের করে নিজের বুকে গুলি চালিয়ে দেন।
তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং শনিবার শেষ খবর পর্যন্ত তিনি শঙ্কামুক্ত।
কোর্ট অব জাস্টিসের মুখপাত্র সুরিয়া হংউইলাই বলেন, “তিনি এখন বিপদমুক্ত। আমরা জানি না কেন তিনি এ কাজ করেছেন। সম্ভবত কোনো ব্যক্তিগত কারণে তিনি চাপে ছিলেন।
“আমি নিশ্চিত করে বলছি, বিচারক হিসেবে তার কাজে কোনো হস্তক্ষেপ করা হয়নি। তারা স্বাধীনভাবে নিজেদের রায় দেন।”
সোমবার জুডিশিয়াল কমিশনকে এ ঘটনা সম্পর্কে অবহিত করবেন বলেও জানান তিনি।
কেউ কেউ এ ঘটনার সঙ্গে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সম্পর্ক থাকতে পারে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
থাইল্যান্ডের মুসলিম অধ্যুষিত তিন প্রদেশের একটি ইয়ালা। এটিসহ বাকি দুই প্রদেশ পাত্তানি ও নারাথিওয়াত এক সময় একজন স্বাধীন মালয় মুসলমান সুলতানের রাজত্বের অংশ ছিল। ১৯০৯ সালে থাইল্যান্ড ওই অঞ্চল দখল করে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে। সেখানে কয়েকটি বিদ্রোহী দল এখনও নিজেদের স্বাধীনতা দাবি করে।