যে কারণে শনিবার নগরীর বেশিরভাগ মেট্রোস্টেশন বন্ধ ছিল বলে জানায় বিবিসি। এদিন শুধুমাত্র ‘এয়ারপোর্ট এক্সপ্রেস’ চলাচল করেছে।
এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য নগরী হংকং টানা চার মাস ধরে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। যা দিন দিন নৃশংস রূপ নিচ্ছে।
আন্দোলনকারীদের দমাতে ঔপনিবেশিক আমলের জরুরি আইনের আওতায় বিক্ষোভ-সমাবেশে মুখোশ পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
শুক্রবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে হংকংয়ের নেতা ক্যারি লাম এ নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেন, শনিবার থেকেই তা কার্যকর হবে।
পরিস্থিতি যাতে খারাপ থেকে আরো খারাপের দিকে না যায় সেজন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
লামের এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীরা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নতুন এ আইন অমান্য করার দৃঢ়সংকল্প নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করে।
শুক্রবার এক পুলিশ কর্মকর্তা ১৪ বছরের এক কিশোর বিক্ষোভকারীর পায়ে গুলি করলে পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে যায়।
হংকংয়ের গণ পরিবহন রেলওয়ে (এমটিআর) কর্তৃপক্ষ শনিবার এক বিবৃতিতে ভাংচুরে ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনগুলোর সংস্কার কাজ এখনো চলছে জানিয়ে দৈনন্দিন সেবা প্রদাণে অক্ষমতা প্রকাশ করে।
তার আগে শুক্রবার রাত থেকেই নগরীর বিভিন্ন সুপার মার্কেট এবং ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়।
শনিবার প্রচারিত আগে রেকর্ড করা একটি ভিডিও বার্তায় লাম বলেন, “দাঙ্গাবাজদের উগ্র আচরণ হংকংকে গাঢ় অন্ধকার রাতের দিকে নিয়ে গেছে। তাদের কারণে সমাজ আজ আধা-পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
“এই চরম নৃশংসতা স্পষ্টতই হংকংয়ের জনজীবনের নিরাপত্তা গভীর সংকটে পড়ার কথা বলছে। ঠিক এই কারণেই আমরা গতকাল ঔপনিবেশিক আমলের জরুরি আইনের আওতায় মুখোশ পরা নিষিদ্ধ করেছি।”