ব্রেক্সিট নিয়ে একমুখে দুই কথা জনসনের

৩১ অক্টোবরের নির্ধারিত সময়েই ব্রেক্সিটে সংকল্পবদ্ধ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যেমন এ নিয়ে আর দেরি করবেন না বলেছেন তেমনি চুক্তি না হলে ব্রেক্সিটে দেরি করার বাধ্যবাধকতাও মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন। এমনটিই দেখা গেছে স্কটিশ আদালতে জমা দেওয়া সরকারি কাগজপত্রে।

>>রয়টার্স
Published : 4 Oct 2019, 05:42 PM
Updated : 4 Oct 2019, 05:42 PM

স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ দেওয়ানি আদালতের ওই কাগজপত্রে বলা হয়েছে, ১৯ অক্টোবরের মধ্যে কোনো ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে ব্রেক্সিটে দেরি করার জন্য চিঠি পাঠাবেন। ‘বেন অ্যাক্ট’ নামের নতুন একটি আইনের আওতায় জনসন শেষমেষ ব্রেক্সিট চুক্তি না হলে দেরির এই অনুরোধ জানাতে বাধ্য।

জনসন বলেছেন, তিনি ‘বেন অ্যাক্ট’ মেনে চলবেন। আবার একইসঙ্গে এও বলেছেন যে, তিনি ব্রেক্সিটে আর কোনোরকম দেরি করার অনুরোধ জানাবেন না। যে কোনোভাবেই যুক্তরাজ্য ৩১ অক্টোবরেই ইইউ ত্যাগ (ব্রেক্সিট) করবে। তার এই পরষ্পরবিরোধী কথার কোনো ব্যাখ্যাও তিনি দেননি।

বিরোধীরা বলছেন, তাদের ধারণা, জনসন কোনো ধরনের আইনি ফাঁক খোঁজার চেষ্টা নেবেন এবং ইইউ’কে ব্রেক্সিটে দেরি করার অনুরোধ না মানার জন্য চাপ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।

ডাউনিং স্ট্রিটের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাও বলেছেন, “বেন অ্যাক্ট’ মানলেই যে সরকার ব্রেক্সিটে দেরি ঠেকাতে আর অন্য কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না তা নয়।” একাজ করার আরো অনেক পন্থাই আছে বলে জানান তিনি।

জনসন গত বুধবারই ইইউ কে নতুন ব্রেক্সিট প্রস্তাব দিয়েছেন এবং আশা করছেন ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই চুক্তিতে পৌঁছা সম্ভব হবে। যদিও ইইউ জনসনের এ প্রস্তাব নিয়ে শীতল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং বলেছে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট এড়াতে হলে আরো ছাড় দিতে হবে।

ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্ট এক সপ্তাহ আগে জনসনের পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি বেআইনি ঘোষণা করার পরই ব্রেক্সিট বিরোধী শিবির চুক্তি না হলে ব্রেক্সিটে সরকারকে দেরি করতে বাধ্য করার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়। তারা চায় আদালতের রায়ে জনসন বেন অ্যাক্ট মানতে বাধ্য থাকুন।

পার্লামেন্ট গত মাসেই এ নতুন আইনটি পাস করেছে। বিরোধীদল লেবার এমপি হিলারি বেনের নামানুসারে আইনটির নাম হয়েছে বেন অ্যাক্ট। স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির এক আইনপ্রণেতা বলেছেন, জনসন এ আইন না মানলে আদালত তাকে শাস্তি হিসাবে জরিমানা এবং কারাদণ্ডও দিতে পারে।

জনসন প্রকাশ্যে কখনো ব্রেক্সিটে দেরির কথা না বললেও স্কটিস আদালতে জমা দেওয়া কাগজ এক আইনজীবী পড়ে শোনালে দেখা যায়, সরকার বলেছে, প্রধানমন্ত্রী জনসন ব্রেক্সিটে দেরির জন্য ইইউ’কে চিঠি পাঠানোর বাধ্যবাধকতা মেনে নিয়েছেন এবং এ দেরি মঞ্জুর হলে ব্রিটেনও তা মেনে নেবে।