সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ৭ জন নিহতের পর বাগদাদে কারফিউ

পরপর দুই দিন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের পর ইরাকের রাজধানী বাগদাদে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Oct 2019, 05:41 AM
Updated : 3 Oct 2019, 06:14 AM

পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে, কর্তৃপক্ষ এমন ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

মঙ্গল ও বুধবার, পরপর দুই দিন বেকারত্ব, অদক্ষতা ও দুর্নীতির বিস্তার নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষুব্ধ জনতার প্রতিবাদের পর বাগদাদের পাশাপাশি আরও তিনটি শহরে কারফিউ জারি করা হয়। সহিংসতায় অন্তত সাত জন নিহত ও কয়েকশ আহত হন।

কিছু এলাকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এক বছর আগে আদেল আবদুল মাহদি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বৃহত্তম প্রতিবাদ এটি।

অস্থিরতার জন্য অনামা ‘দাঙ্গাকারীদের’ দায়ী করে প্রতিবাদকারীদের উদ্বেগ আমলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী মাহদির সরকার।

বুধবার এক বিবৃতিতে আবদুল মাহদি বলেছেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টা থেকে (স্থানীয় সময়) ‘সব ধরনের গাড়ি ও লোক চলাচল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে’।

বাগদাদ বিমানবন্দরগামী ও বিমানবন্দর থেকে আসা লোকজন, অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের সরকারি কর্মচারি, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিভাগ এবং তীর্থযাত্রীরা কারফিউয়ের আওতার বাইরে থাকবে বলে ঘোষণায় বলা হয়েছে।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়া, আমারা ও হিল্লায়ও কারফিউ জারি করা হয়েছে।

বাগদাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি করে। বিক্ষোভকারীরা নগরীর কেন্দ্রীয় এলাকা তাহরির স্কয়ারে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়।

তাহরির স্কয়ার ও বাগদাদের গ্রিন জোনমুখি নিকটবর্তী একটি সেতুসহ পুরো এলাকায় প্রবেশের সবগুলো পথ আগে থেকেই বন্ধ করে রেখেছিল পুলিশ। ইরাকের সরকারি দপ্তরগুলো ও বিদেশি দূতাবাসগুলো গ্রিন জোন এলাকায় অবস্থিত।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন দখলদারিত্বের পর থেকে অধিকাংশ ইরাকির জন্যই গ্রিন জোনের দ্বার বন্ধ ছিল। জুনে জনগণের অবাধ প্রবেশের জন্য এলাকাটির দ্বার খুলে দেওয়া হয়।