চূড়ান্ত প্রস্তাব জনসনের, না মানলে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে চূড়ান্ত ব্রেক্সিট প্রস্তাব দিয়েছেন। এ প্রস্তাবে ইইউ আপোস না করলে যুক্তরাজ্য এ মাস শেষে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2019, 04:42 PM
Updated : 2 Oct 2019, 05:00 PM

বুধবার জনসন নতুন এ প্রস্তাবের বিস্তারিত জানিয়েছেন। তিনি এ প্রস্তাবকে উভয় পক্ষের জন্যই গঠনমূলক এবং যুক্তিযুক্ত বলে দাবি করেছেন। আইরিশ সীমান্তের বিতর্কিত ‘ব্যাকস্টপ’ ব্যবস্থা বাদ দিয়ে নতুন এ প্রস্তাব করেছেন জনসন।

সাত পাতার এ প্রস্তাবে আয়ারল্যান্ডে সব দ্বীপ নিয়ে একটি বিধিসম্মত অঞ্চল গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে, যার আওতায় থাকবে সব পন্য। এভাবে আয়ারল্যান্ড এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চেকিং এড়ানো যাবে।

উত্তর আয়ারল্যান্ডের এসেম্বলিতে আগে এ ব্যবস্থা অনুমোদন পেতে হবে এবং এটি অব্যাহত রাখতে গেলে চারবছর পরপর ভোট অনুষ্ঠান করতে হবে।

ইউরোপীয় কমিশন বলেছে, তারা প্রস্তাবটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে দেখবে।

৩১ অক্টোবরেই যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগ করার (ব্রেক্সিট) কথা রয়েছে। জনসন সরকার জোর দিয়ে বলেছে, যুক্তরাজ্য আর চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য ব্রেক্সিট পেছানোর আবেদন করবে না।

বুধবার কনজারভেটিভ পার্টিতে জনসন বলেন, তার ব্রেক্সিট প্রস্তাবের একমাত্র বিকল্প হচ্ছে কোনো চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হওয়া।

ব্রিটিশ সরকারের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, তারা আশা করছেন তাৎক্ষণিকভাবেই ইইউ’র সঙ্গে ১০ দিনের নিবিড় আলোচনা শুরু হবে যাতে ১৭ অক্টোবরের ইইউ সম্মেলনেই চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়।

তবে অনেক কূটনীতিকেরই আশঙ্কা যুক্তরাজ্য চুক্তিহীন ব্রেক্সিট কিংবা ব্রেক্সিটে আরো দেরির দিকেই এগুচ্ছে। কারণ, তাদের মতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রস্তাবটি ৩১ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়। তবে জনসন বলছেন, চুক্তি করা নিয়ে আরো দেরী করা অনর্থক এবং ব্যয়বহুলও।

জনসনের প্রস্তাব নিয়ে ইউরোপীয় কূটনীতিক এবং কর্মকর্তারা শীতল প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন এ প্রস্তাবকে মূলত ত্রুটিপূর্ণ বলেও বর্ণনা করেছেন।

ওদিকে, ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ব্রেক্সিট বিরোধীরাও এ প্রস্তাবে আরেকটি গণভোটের প্রতিশ্রুতি না থাকলে তা সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে।