মার্কিন, তুর্কি বাহিনীর প্রত্যাহার দাবি সিরিয়ার

সিরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ও তুরস্কের সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন দামেস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল মুয়ালেম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2019, 05:42 AM
Updated : 29 Sept 2019, 05:42 AM

শনিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে এ দাবি তুলেছেন তিনি, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

ওই দেশগুলো সৈন্য প্রত্যাহারে রাজি না হলে তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার সিরিয়ার সরকারি বাহিনীগুলোর আছে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।

সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় এক হাজার সৈন্য মোতায়েন আছে। অপরদিকে উত্তর সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও কুর্দি ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক।

ভাষণে মুয়ালেম বলেন, “আমাদের অনুমোদন ছাড়া আমাদের ভূখণ্ডে অভিযানরত যেকোনো বিদেশি বাহিনীই দখলদারী বাহিনী এবং অবশ্যই অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। তারা যদি রাজি না হয়, তাহলে আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী যে কোনো এবং সব ধরনের পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আমাদের আছে।

“যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অবৈধ সামরিক উপস্থিতি বজায় রেখেছে।”

সিরিয়ার ভিতরে যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্কের ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।  

গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়া থেকে মার্কিন বাহিনী পুরোপুরি প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ‘আইএস জঙ্গিরা যেন ফিরে আসার পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে তা নিশ্চিত’ করার কথা বলে কিছু সৈন্য সেখানে রেখে দেন।  

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে বিমান হামলা চালানোর মধ্যে দিয়ে সিরিয়ায় হস্তক্ষেপ শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র।

সিরিয়া তাদের মাটিতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি অনুমোদন না করলেও জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা ব্যবহার করে সেখানে তাদের সৈন্যদের উপস্থিতির পক্ষে যুক্তি দেয় ওবামা প্রশাসন। বিশ্ব সংস্থাটির ওই ধারায় সশস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

সিরিয়ায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত ‘সেইফ জোনে’ ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে পুনর্বাসনের পরিকল্পনা করেছে তুরস্ক।