জার্মানির একটি পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদে জাঙ্কার বলেন, যুক্তরাজ্য যদি একটি সুশৃঙ্খল প্রক্রিয়া ছাড়াই ইইউ থেকে বেরিয়ে যায় তবে তা উভয়পক্ষের জন্যই চরম বিপর্যয় বয়ে নিয়ে আসবে।
“আমাদের প্রধান মধ্যস্থতাকারী মিশেল বার্নিয়ের এবং আমি একটি চুক্তিতে উপনীত হতে সম্ভাব্য সব কিছু করছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যদি আমরা সফল হতে না পারি, তবে তার দায় সম্পূর্ণরূপে যুক্তরাজ্যের।”
আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে।
বলতে গেলে হাতে সময় আর মাত্র একমাস। অথচ যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সম্পর্কোচ্ছেদের প্রক্রিয়ার পথরেখা নিয়ে আলোচনায় খুব সামান্যই অগ্রসর হয়েছেন।
জনসনের পূর্বসুরি টেরিজা মে ইইউর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতঐক্যের ভিত্তিতে একটি খসড়া ব্রেক্সিট চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তার সেই চুক্তি যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে অনুমোদন পেতে তিন তিনবার ব্যর্থ হয়। ওই ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করেন মে।
জাঙ্কার বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে তাতে সম্পোর্কচ্ছেদের পর যুক্তরাজ্য ও ইইউর মধ্যে ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা ভীষণ জটিল হয়ে উঠবে।
“আমরা একটি উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করতে চাই এবং এটাই প্রয়োজন।
“কিন্তু যুক্তরাজ্যে যা ঘটছে সেটা ভাবলে তা কখনোই সম্ভব হবে না। দায়িত্ব গ্রহণের পর আমি যেসব বাণিজ্য চুক্তি করেছি সেগুলো বাস্তবায়ন করতেও অনেক বছর লেগে যাবে।”