বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকরা।
মিশরে অনুমোদন ছাড়া বিক্ষোভের ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গত শুক্রবার সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজধানী কায়রোসহ বিভিন্ন নগরীতে রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভ করে মানুষ। সুয়েজ নগরীতে শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে।
মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য সরবরাহকারী আরব নেটওয়ার্ক এর প্রধান জামাল ঈদ জানান, তার প্রতিষ্ঠানসহ আরো দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে মিশরে ১১শ’র বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হওয়ার এ হিসাব নথিভুক্ত করেছে। অপর প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে, আর্থ-সামাজিক অধিকার বিষয়ক মিশরীয় কেন্দ্র এবং অধিকার ও স্বাধীনতা বিষয়ক মিশরীয় কমিশন।
মিশরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গ্রেপ্তারের ওই পরিসংখ্যান নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে মঙ্গলবার বিশিষ্ট কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
২০১৪ সালে সিসির হাতে শাসনভার যাওয়ার পর এবারই প্রথম তার পদত্যাগের দাবিতে জনগণ বিক্ষোভ দেখিয়েছে। স্পেনে থাকা মিশরীয় ব্যবসায়ী আলী গত ২ সেপ্টেম্বর প্রথম সিসি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্বলিত ভিডিও পোস্ট করে বিক্ষোভ ডাকার পর তাতে সাড়া দিয়েছে মানুষ।
মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে সিসি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে। এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসি নজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে ভাষ্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।