যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে মঙ্গলবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য অক্সিজেনের ২০ শতাংশের যোগান দেয় যে বন সেই ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজন দাবানলে পুড়ে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাবানল নিয়ন্ত্রণে বোলসোনারোর ব্যর্থতার খবরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চিরহরিৎ ওই বনাঞ্চলে রেকর্ড অগ্নিকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করে। গত মাসে এ নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেন জাতিসংঘ মহাসচিবও।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইনপে উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্যে চলতি বছর ব্রাজিলজুড়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে; এ অগ্নিকাণ্ডের বেশিরভাগই সংঘটিত হয়েছে আমাজন অঞ্চলে।
পরিবেশবাদীরা এজন্য আমাজন নিয়ে বোলসোনেরো সরকারের নীতিকে দায়ী করেছেন। কট্টর ডানপন্থি এ প্রেসিডেন্ট বন উজাড়ে কাঠুরে ও কৃষকদের উৎসাহিত করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।
এসবকিছুর পরিপ্রেক্ষিতেই এবার জাতিসংঘ অধিবেশনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট আমাজনের দাবানল এবং তা নিয়ন্ত্রণে তার দেশের ব্যর্থতা নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কঠোর সমালোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বোলসোনারো বলেন, “অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো ওই সব মিথ্যা প্রতিবেদন আর ভুল ধারণার ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি দেশ ব্রাজিলকে সাহায্যের মনোভাব না দেখিয়ে বরং উপনিবেশবাদী মনোভাব নিয়ে অসম্মানজনক আচরণ করেছে। তারা ব্রাজিলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সার্বভৌমত্বকেও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।’
সুইডেনের পরিবেশবাদী কিশোরী গ্রেটা থানবার্গের বক্তৃতার পরদিন বোলসোনারো জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণ দেন।
আট লাখের বেশি ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী ব্রাজিলজুড়ে ৪৫০ টি এলাকায় বাস করে। ব্রাজিলের মোট অঞ্চলের প্রায় ১২ শতাংশ এলাকায় বাস করে তারা। এ গোষ্ঠীগুলোর বেশির ভাগই আমাজন অঞ্চলের অধিবাসী। এর মধ্যে কোনো কোনো গোষ্ঠী এখনো মূল ভূখন্ড এবং বাইরের জগৎ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছে।