ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহত ২০

ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়ায় নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে অস্থিরতা। দুইটি শহরে শ’ শ’ মানুষের বিক্ষোভ-সংঘর্ষে ১৯ বেসামরিক নাগরিক এবং এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

পাপুয়ার বাইরের এক শিক্ষক একজন পাপুয়ান শিক্ষার্থীকে ‘বানর’ বলে বিদ্রুপ করেছেন এমন গুজবে নগরী জুড়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানান পাপুয়ার পুলিশ প্রধান। তবে ওই শিক্ষক তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেও জানান তিনি।

পাপুয়ার জয়াউইজয়া অঞ্চলের প্রধান নগরী ওয়ামেনায় সোমবার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে লড়াইয়ের পর সংঘর্ষ শুরু হয় এবং পরে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠে। বিক্ষুব্ধরা সরকারি স্থাপনা এমনকি ব্যক্তিগত সম্পদেও আগুন দেয় বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী একজন জানান, শিক্ষার্থীরা কয়েকটি সরকারি ভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের থামাতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে ওয়ামেনা বিমানবন্দর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাকার্তা পোস্ট।

বিক্ষোভে ওয়ামেনায় ১৬ জন নিহত এবং আরো ৬৫ জন আহত হয়েছেন বলে টেলিফোনে রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন সেনা মুখপাত্র একো দারয়ান্তো। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগেও পাপুয়ানদের বিরুদ্ধে জাতিগত বৈষম্যের অভিযোগে পাপুয়া এবং ওয়েস্ট পাপুয়ায় হাজার হাজার মানুষের সহিংস বিক্ষোভ হয়েছে। সেই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আসার কয়েক সপ্তাহের মাথায়ই নতুন করে এ বিক্ষোভ-সংঘর্ষ হল।

পাপুয়া প্রদেশের রাজধানী জয়াপুরায় সোমবার স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে চলার সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী এক সেনাকে ঘিরে ধরে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে বলে জানায় সেখানকার পুলিশ। বিক্ষোভের সময় আরো তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।