শনিবার দেশটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর এ মন্তব্য করেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
ঠিক কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা জানাতে অস্বীকার করে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, “রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে রাজ্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। হামলাটি ইয়েমেন থেকে করা হয়নি এটি নিশ্চিত আমরা, হামলাটি উত্তর দিক থেকে হয়েছে। তদন্তকারীরাই এটি প্রমাণ করবে।”
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা হামলাটির দায় স্বীকার করলেও সৌদি আরব তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
১৪ সেপ্টেম্বরের ওই হামলায় সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর দুটি তেল স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ স্থাপনা দুটির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারও আছে।
হামলার পরপরই বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ সৌদির দৈনিক তেলের উৎপাদন কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমে যায়। এতে বিশ্বের দৈনিক তেল সরবরাহ পাঁচ শতাংশ হ্রাস পাওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য বেড়ে যায়।
হামলাটি উত্তর দিক থেকে হয়েছে এবং এতে ইরানি অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, এ পর্যন্ত করা তদন্তে এমন তথ্য পাওয়ার কথা ইতোমধ্যে জানিয়েছে সৌদি আরব। হামলাটি ঠিক কোন জায়গা থেকে চালানো হয়েছে পরবর্তী তদন্তে তা নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে তারা।
‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে’ সৌদি আরব তার মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করছে জানিয়ে এ বিষয়ে একটি অবস্থান নেওয়ার জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জুবেইর।
এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে চলতি সপ্তাহে দেশটির বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি সৌদির বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা জোরদার করার জন্য মধ্যপ্রাচ্যের ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশটিতে অতিরিক্ত মার্কিন সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নিয়েছে।