মিশরে সিসিবিরোধী বিক্ষোভ

মিশরের বেশ কয়েকটি শহরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2019, 07:47 AM
Updated : 21 Sept 2019, 07:48 AM

শুক্রবারের এই বিক্ষোভ দমনে কোথাও কোথাও পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহার করতে হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

২০১৪ সালে সিসির হাতে শাসনভার যাওয়ার পর সরকারবিরোধী এ ধরনের প্রথম প্রতিবাদী কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীরা প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়েছেন।

শুক্রবার কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী তাহরির স্কয়ারে জড়ো হন; ২০১১ সালের গণঅভ্যুত্থানে এই চত্বর এর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য।

কায়রোর পাশাপাশি আলেকজান্দ্রিয়া ও সুয়েজেও সিসি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

স্পেনে স্বেচ্ছানির্বাসনে থাকা মিশরীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী প্রেসিডেন্ট সিসির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার সপ্তাহ দুয়েক পর এ বিক্ষোভ হলো।

অনলাইনে পোস্ট করার সিরিজ ভিডিওতে আলী লাখ লাখ মিশরীয়কে দারিদ্র্যের মধ্যে রেখে প্রেসিডেন্টের বিলাসবহুল বাসভবন এবং হোটেলের পেছনে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার অপচয়ের তীব্র সমালোচনা করেছেন।

সিসি এসব অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও অপবাদ' আখ্যা দিয়ে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করেছেন।

শুক্রবার মিশরে টুইটারের ট্রেন্ডিং তালিকায়ও 'সিসির পদত্যাগ' এবং 'জনগণ এ সরকারকে সরিয়ে দিতে চায়' বিষয়গুলোই প্রাধান্য পেয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

স্পেনে থাকা মিশরীয় ব্যবসায়ী আলী গত ২ সেপ্টেম্বর প্রথম সিসি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্বলিত ভিডিও পোস্ট করেন।

মঙ্গলবারের ভিডিওতে তিনি বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগের আহ্বান জানান।

সিসি এ আহবানে সাড়া না দিলে শুক্রবার তাহরির স্কয়ারে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।

মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির বিরুদ্ধে গণ-আন্দোলনের সূত্র ধরে ২০১৩ সালে সিসি নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী তৎকালীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।

এরপর থেকে বিরোধীদের ওপর তীব্র দমন-পীড়ন চালিয়ে সিসিই ননজিরবিহীভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রেখেছেন বলে ভাষ্য মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।

তার এ কয়েক বছরের শাসনামলে লাখ লাখ মানুষকে আটক করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।

চলতি বছরের এপ্রিলে হওয়া সংবিধান সংশোধনের ভোটে ভোটার উপস্থিতি ছিল মাত্র ৪৪ শতাংশ।

এতে সংবিধান পরিবর্তনের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পড়লে সিসির ক্ষমতা আরো সংহত হয়। সংবিধানে ওই পরিবর্তনের ফলে সিসির ক্ষমতার মেয়াদ ২০৩০ পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।

২০১৮ সালের প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ৯৭ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।