জলবায়ু পরিবর্তন এবং পরিবেষদূষণের বিরুদ্ধে শুক্রবার এশিয়ার দেশগুলো থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, ইউরোপসহ আফ্রিকা এবং যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি ব্যবস্থার দাবিতে পদযাত্রা এবং ধর্মঘট পালনের কর্মসূচি নিয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
এ আন্দোলনে অস্ট্রেলিয়া জুড়ে ৩ লাখ মানুষ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। দেশজুড়ে ১১০ টি শহরে বিক্ষোভ হচ্ছে। সরকারের কাছে ২০৩০ সাল নাগাদ পরিবেশ কার্বন দূষণ মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছে তারা।
লন্ডনের রাস্তায়ও নেমেছে লাখো মানুষ। দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় তরুণ ও শিশুদের ১৫০টিরও বেশি বিক্ষোভ সংঘটিত হচ্ছে। আরো শত শত আন্দোলনকর্মী তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছে।
সুইডেনের গ্রের্টা থুনবের্গ নামের ১৫ বছর বয়সের এক স্কুলছাত্রী এ আন্দোলনের সূত্রপাত করেছিল। স্কুলের আগে পরিবেশ এই মূলনীতি নিয়ে শুরু হওয়া এ আন্দোলন নানা দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্তি লাভ করেছে। শুক্রবার বিশ্বব্যাপী ১৫০ টি দেশের শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে পরিবেশের জন্য রাজপথে নেমে আসার কর্মসূচি নিয়েছে।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের সলোমন দ্বীপপুঞ্জ জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিকর প্রভাবের শিকার হচ্ছে। সমুদ্রস্তর এবং ঝড়ের প্রকোপ বেড়ে সেখানে ঘরছাড়া হচ্ছে অনেক মানুষ। তাই সলোমন দ্বীপপুঞ্জেও এদিন দেখা গেছে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
শহরের রাস্তায় বিক্ষোভ হরহামেশাই দেখা যায়। কিন্তু সলোমন দ্বীপপুঞ্জে বাসিন্দারা বিক্ষোভ করেছে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও। মাভারো দ্বীপের সৈকতে তরুণদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে।
এর আগে গত মার্চে বিশ্বের একশ’টিরও বেশি দেশের বিভিন্ন শহরে এ আন্দোলনে রাস্তায় নেমেছিল স্কুলশিক্ষার্থীরা। এবারের আন্দোলন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে আরো ব্যাপক পরিসরে।
সিডনি থেকে সিউল, ম্যানিলা থেকে মুম্বাইয়ে শিশু-কিশোররা পরিবেশ বাঁচানোর দাবি নিয়ে স্কুল ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসে মিছিল করেছে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ২শ’র বেশি তরুণ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে ভাঙচুর করেছে এবং মৃতের ভান করে পড়ে থেকে বিক্ষোভ করেছে। “আমরা জলবায়ু পরিবর্তন এখনই ঠেকাতে না পারলে এমনটিই ঘটবে,” বলেন বিক্ষোভের আয়োজক এক তরুণ।