বুধবার লস অ্যাঞ্জেলসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “অনেক বিকল্প আছে। চূড়ান্ত উপায়টি তো আছেই, এছাড়াও অনেক বিকল্প আছে। আমরা দেখছি।
“আমি বলছি চূড়ান্ত উপায় বলতে যুদ্ধে যাওয়া বোঝাচ্ছে।”
এর আগে সৌদি আরব বেশ কিছু ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের অবশিষ্টাংশ প্রদর্শন করে সেগুলো তাদের তেল স্থাপনায় চালানো হামলায় ব্যবহৃত হয়েছে জানিয়ে হামলাটি ‘নিঃসন্দেহে তেহরানের সৌজন্যে’ হয়েছে বলে দাবি করেছে।
সৌদি আরব সফরে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও হামলাটিকে ‘যুদ্ধের শামিল’ বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কণ্ঠে সতর্কতার আভাস ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শনিবার সৌদির দুটি তেল শিল্পস্থাপনায় চালানো ওই হামলার পেছনে ইরান আছে বলে বার বার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর সৌদি আরব বলেছে ‘বৈশ্বিক মনোভাব পরীক্ষার জনই’ হামলাটি চালানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের দাবির পথ ধরে ও সৌদির মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পরই ট্রাম্প ওই টুইটটি করেন।
সৌদি তেল স্থাপনায় ১৪ সেপ্টেম্বরের ওই হামলা সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা ফের অস্বীকার করেছে ইরান। ওই হামলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাৎক্ষণিকভাবে বিশ্বের শীর্ষ তেল রপ্তানিকারী দেশ সৌদি আরবের দৈনিক তেল উৎপাদন কমে অর্ধেকেরও নিচে নেমে যায়।
ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত বিদ্রোহী হুতি গোষ্ঠী হামলাটির দায় স্বীকার করেছে। ইয়েমেনের তিনটি স্থান থেকে হামলাটি চালানো হয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে তারা।
তারা হামলার লক্ষ্যস্থল করতে সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের কয়েক ডজন স্থানের তালিকা করেছে বলেও একইদিন হুতিরা জানিয়েছে।
গোষ্ঠীটির এ উক্তি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বিরাজমান উত্তেজনাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশকে আরও নাজুক করে তুলেতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।