যুক্তরাষ্ট্রের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ আহ্বান জানান। তবে তিনি কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়েছেন বা রাশিয়া এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করবে কিনা তা এখনো জানা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এখানে জাতিসংঘের ভূমিকা দেখতে চাই। সৌদি আরবে হামলা হয়েছে এবং জাতিসংঘের উচিত নিরাপত্তা পরিষদে এটি নিয়ে কথা বলা। তবে তার আগে আমাদের প্রকাশযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।”
‘প্রকাশযোগ্য তথ্য’ বলতে কি বোঝাতে চাইছেন? বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে এ প্রশ্ন করা হলেও তিনি তার ব্যাখ্যা দিতে রাজি হননি।
গত শনিবার ভোরে সৌদি আরবের রাষ্ট্র মালিকানাধীন সবচেয়ে বড় জ্বালানি কোম্পানি আরামকোর দুইটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তারমধ্যে আবকাইক তেলক্ষেত্রে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল শোধনাগারটি রয়েছে।
যার জেরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল রপ্তানি কারক দেশটির দৈনিক তেল উৎপাদন অর্ধেকের বেশি হ্রাস পেয়েছে। বিশ্ববাজারে এর প্রভাবে তেলের দাম বেড়ে গেছে।
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করলেও ওয়াশিংটনের অভিযোগ, ইয়েমেন নয় বরং ইরান থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে।
ইরানের কোথা থেকে হামলা চালানো হয়েছে তা খুঁজে বের করার দাবিও করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। ইরান হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করে ‘পূর্ণ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছে’ বলে হুমকি দিয়েছে।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের এ নালিশ কতটা ধোপে ঠিকবে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদের দুই স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীন ইরানকে সর্মথন দেবে বলেই ধারণা কূটনীতিকদের।
নিরাপত্তা পরিষদের যে পাঁচ স্থায়ী সদস্যের ‘ভিটো’ দেওয়ার (আপত্তি তোলার) ক্ষমতা আছে রাশিয়া ও চীন তাদের দুইটি। বাকি তিন দেশ যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য।
চীন এবং রাশিয়া এখনই কারা হামলা করেছে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না আসার বিষয়ে সতর্ক করেছে।