বিবিসি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রোববার এ বিষয়ে সিবিএস নিউজের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তাদের দাবি, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলে পারস্য উপসাগরের উত্তরের শেষ প্রান্ত থেকে ওই হামলা চালানো হয়।
ইয়েমেন থেকে সম্ভাব্য হামলা আটকাতে সৌদি আরবের আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থার মুখ দক্ষিণের দিকে থাকায় ওই হামলা আটকানো যায়নি বলেও জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য প্রথম থেকেই সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পেছনে ইরান রয়েছে বলে অভিযোগ করে আসছিল। এমনকি ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলার দায় স্বীকার করার পরও।
হুতি বিদ্রোহীরা এর আগেই বেশ কয়েকবার সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে।
ইরান ওই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে।
গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুইটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে আবকাইক তেলক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারটি রয়েছে। আরামকো বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি। বিশ্ববাজারে মোট তেল উৎপাদনের ১০ শতাংশের যোগানদাতা তারা।
হামলার পরদিন এক বিবৃতিতে আরামকো জানিয়েছিল, অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে দেশের দৈনিক তেল উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল হ্রাস পাবে। যা বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের ৫ শতাংশেরও বেশি।
সৌদি আরব থেকে তেল সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে গেছে।