হংকং: শান্তি ফেরাতে সংলাপে বসছেন প্রধান নির্বাহী  লাম

আগামী সপ্তাহ থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে সংলাপে বসার ঘোষণা দিয়েছেন চীন নিয়ন্ত্রিত হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Sept 2019, 10:56 AM
Updated : 17 Sept 2019, 10:56 AM

মঙ্গলবার এ ঘোষণা দিয়ে ফের সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি, পাশাপাশি জনসাধারণের অংশগ্রহণ অবাধ করতে সংলাপ পর্ব যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখার আশ্বাসও দিয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক কেন্দ্র হংকং। জনসাধারণের ক্ষোভ শান্ত করতে নগরীটির প্রধান নির্বাহীকে চাপে রেখেছে বেইজিং।

এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে লাম বলেন, “হংকংয়ের সমাজ মূলত দৃঢ় অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুর সমন্বিত রূপ; আমার বিশ্বাস এরকম নানান ধরনের সংলাপ আমাদের আলোচনার জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করবে।”

সংলাপে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে ভূমি ও বাসভবনের ঘাটতিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলে লাম জানিয়েছেন।

৭৪ লাখ বাসিন্দা অধ্যুষিত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ শহরটির তরুণরা মূলত বাসাভাড়া ও জীবনযাপনের উচ্চ ব্যয় নিয়ে ক্ষুব্ধ।

“কিন্তু আমি এখানে জোর দিয়ে বলতে চাই, সংলাপের ভিত্তির অর্থ এই নয় যে, আমরা শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ থেকে সরে আসবো। এখনো আমাদের সামনে চলমান এ সহিংসতা দমনই অগ্রাধিকার পাবে,” বলেছেন তিনি।

বিচারের জন্য বাসিন্দাদের চীনের মূল ভূখণ্ডে পাঠানোর সুযোগ রেখে আইনের সংশোধনে আনা একটি বিলকে কেন্দ্র করে টানা তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে হংকংয়ে সহিংস প্রতিবাদ চলছে।

টানা আন্দোলনের মুখে লাম বিতর্কিত ওই বিলটি প্রথমে ‘স্থগিত’ ও পরে ‘সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ করেও বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে পারেননি।

প্রধান নির্বাহীর এ পদক্ষেপকে ‘অনেক দেরিতে, সামান্য কিছু’ বলে অভিহিত করে আন্দোলনকারীরা এখন হংকংয়ে আরও গণতন্ত্র এবং সরকারবিরোধী বিক্ষোভে ‘পুলিশি নির্যাতনের’ নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছেন।

টানা এ আন্দোলনে বিক্ষোভকারীদের প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা গেছে।

রোববার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে আক্রমণ, পেট্রল বোমা ও ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনায় ৮৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে সোমবার পুলিশ জানিয়েছে।   

সরকারবিরোধী এ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হংকংয়ের চীনপন্থি বাসিন্দাদের মারামারি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।