তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী, পাল্টা জবাবের হুমকি ট্রাম্পের

সৌদি আরবে দু’টি তেলক্ষেত্রে হামলার পর বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের যোগান হ্রাস পাওয়ায় জ্বালানি তেলের বাজার এখন চড়া। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন এর জন্য ইরানকে দায়ী করার পরই এর পাল্টা জবাবের হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র হাতে তৈরি বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2019, 04:17 PM
Updated : 16 Sept 2019, 04:23 PM

গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকোর দুইটি তেলক্ষেত্রে ড্রোন হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তার মধ্যে আবকাইক তেলক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারটি রয়েছে। আরামকো বিশ্বের সর্ববৃহৎ তেল উৎপাদনকারী কোম্পানি। বিশ্ববাজারে মোট তেল উৎপাদনের ১০ শতাংশের যোগানদাতা তারা।

হামলার পরদিন এক বিবৃতিতে আরামকো জানায়েছিল, অগ্নিকাণ্ডে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তাতে দেশের দৈনিক তেল উৎপাদন ৫৭ লাখ ব্যারেল হ্রাস পাবে। যা বিশ্বের মোট তেল সরবরাহের ৫ শতাংশেরও বেশি।

ক্ষতি সারিয়ে কবে নাগাদ আবার নিয়মিত তেল উৎপাদনে ফিরতে পারবে সে সম্পর্কে তারা কোনো তথ্য দেয়নি।  তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, নিয়মিত উৎপাদনে ফিরতে একমাস বা তার বেশি সময় লেগে যেতে পারে।

সৌদি আরব প্রতিদিন গড়ে ৭০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি তেল রপ্তানি করে। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ওই হামলার দায় স্বীকার করেলেও ওয়াশিংটন এবং রিয়াদ তা মানতে নারাজ। বরং তাদের অভিযোগ, ইরান থেকে ওই হামলা চালানো হয়েছে এবং তাদের হাতে এ সংক্রান্ত প্রমাণও আছে।

ইরান হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, যদি তেলক্ষেত্রে হামলা নিয়ে যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হয় তবে তারা ‘পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’।

এরপর রোববার এক টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও পাল্টা যুদ্ধের হুমকি দিয়ে বলেছেন, “আমরা অপরাধীকে চিনি এবং এমনটা বিশ্বাস করার কারণ আছে। প্রমাণ যাচাইয়ের ওপর ভিত্তি করে আমরাও অস্ত্রহাতে তৈরি আছি।”

“কিন্তু এখনো আমরা হামলার বিষয়ে সৌদি আরবের বক্তব্যের এবং তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে তা জানার অপেক্ষায় আছি।”

শনিবার সকালে ওই হামলার পর সোমবার ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ১০ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৬ দশমিক ২৮ ডলারে পৌঁছেছে; অন্যদিকে এশিয়ায় ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ব্যারেলপ্রতি তেল লেনদেন হয়েছে আগের চেয়ে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি দরে, ৫৯ দশমিক ৭৫ ডলারে।

যদিও লেনদেনের শুরুতে দাম আরও চড়া ছিল। পরে ট্রাম্প বাজারে মার্কিন মজুদ থেকে তেল ছাড়ার অনুমোদন দেয়ার পর দর খানিকটা নেমে আসে বলে জানায় বিবিসি।