হংকংয়ের বিক্ষোভ দিন দিন সহিংস হচ্ছে

গত জুন থেকে এশিয়ার ব্যস্ততম বাণিজ্য নগরী হংকংয়ে টানা বিক্ষোভ চলছে। যা দিন দিন সহিংস রূপ ধারণ করছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2019, 04:17 PM
Updated : 15 Sept 2019, 04:29 PM

বিবিসি জানায়, রোববার বিক্ষোভকারীরা নগরীর বিভিন্ন সরকারি কার্যালয় লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ও ইট নিক্ষেপ করে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও টিয়ার গ্যাসের শেল ব্যবহার করে পুলিশ।

স্থানীয় কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম জানায়, বিক্ষোভকারীরা চীনের সেনাঘাঁটির বাইরে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উলপক্ষ্যে টানানো একটি ব্যানারেও তারা আগুন দেয় বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এদিন পেট্রোল বোমার আঘাতে জলকামানের একটি ট্রাকে আগুন লেগে যায়।

পুলিশ জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের দিকে নীল রঙের পানি ছোড়ে। কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল তাদের চিহ্নিত করতে সাধারণত রঙিন পানি ব্যবহার করা হয়।

তার আগে কয়েকশ বিক্ষোভকারী যুক্তরাজ্যের পতাকা হাতে এবং দেশটির জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গাইতে হংকংয়ে ব্রিটিশ কনস্যুলেটের সামনে জড় হন।

তারা যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে ১৯৯৭ সালের হস্তান্তর চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে চীনকে চাপ দেওয়ার দাবি জানান।

ব্রিটিশ কনস্যুলেটের বাইরে তারা ‘এক দেশ দুই নীতি ব্যবস্থা মৃত’ এবং ‘হংকংকে স্বাধীন করো’ বলে স্লোগান দেয়।

এক বিক্ষোভকারী বিবিসিকে বলেন, “ওই নীতিতে হংকংয়ের জনগণের মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের অধিকার ও তার সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

“তাই আমাদের বিশ্বাস হংকংয়ের জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার আইনী অধিকার যুক্তরাজ্য সরকারের আছে এবং এটা তাদের নৈতিক দায়িত্বও বটে।”

যুক্তরাজ্য ১৯৯৭ সালে চীনের শাসনে হংকংকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর থেকে হংকংয়ে ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থাপনার’ নীতি চলছে। স্বাধীন বিচার ব্যবস্থাসহ কিছু ক্ষেত্রে সেখানে স্বায়ত্তশাসন আছে।

এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ বাণিজ্য নগরীরতে প্রায় ৭০ লাখ মানুষ বাস করে।