দাতব্য সংস্থা ও নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করা ৪৩ বছর বয়সী এ প্রিন্সেস সৌদিতে বেশ জনপ্রিয়।
বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার সময় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের এ বোন উপস্থিত ছিলেন না।
মিস্ত্রিকে মারধর ও অপহরণের অভিযোগে সৌদি এ প্রিন্সেসকে ১০ হাজার ইউরো জরিমানাও করা হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
একই মামলায় হাসার দেহরক্ষী রানি সাইদিকে ৮ মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে।
হাসার নির্দেশে সেদিন দেহরক্ষী সাইদি তাকে মারধর ও কয়েক ঘণ্টা বেঁধেও রাখেন বলে অভিযোগ এ মিসরীয়র।
ওই ঘটনার পরপরই সৌদি প্রিন্সেস ও তার দেহরক্ষী ফ্রান্স ছেড়ে চলে যান। ২০১৮ সালের মার্চে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর চলতি বছরের ৯ জুলাই ফ্রান্সের আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়।
হাসার ফরাসী আইনজীবী ইমানুয়েল মইন আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন।
তার মক্কেল মিস্ত্রিকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বলেও ভাষ্য মইনের।
শৌচাগারের বেসিন ঠিক করতে এসে মিস্ত্রি তার ছবি তুলে সেগুলো বিক্রির মতলব এঁটেছিলেন বলেও পাল্টা অভিযোগ করেছেন সৌদি প্রিন্সেস।
যদিও আশরাফ বলছেন, হাসা নয়, তিনি সেদিন শৌচাগারের ছবি তুলেছিলেন।
সৌদি আরবের আইনে প্রিন্সেসদের ছবি তোলা অবৈধ বলে বিবিসি জানিয়েছে।