যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতকে ‘বেআইনি’ ঘোষণা

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিতের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা ‘বেআইনি’ এবং এ সিদ্ধান্ত বাতিল করা উচিত বলে রায় দিয়েছে স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ দেওয়ানী আদালত।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 03:32 PM
Updated : 11 Sept 2019, 03:32 PM

জনসনের পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানানো একদল রাজনীতিবিদের পক্ষে বুধবার এ রায় দিয়েছে তিন বিচারকের একটি প্যানেল।

বিচারকরা বলেছেন, ব্রেক্সিটের আগে পার্লামেন্টের কাছে সরকারের জবাবদিহিতা আটকাতেই প্রধানমন্ত্রী একাজ করেছেন।

মঙ্গলবার এমপি’দের অভিনব প্রতিবাদে নজিরবিহীন নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট পাঁচ সপ্তাহের জন্য স্থগিত হয়। আগামী ১৪ অক্টোবর নতুন অধিবেশন শুরু হবে।

অন্যদিকে, আগামী ৩১ অক্টোবর যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যেতে (ব্রেক্সিট) হবে।

বেক্সিট নিয়ে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার জন্য পার্লামেন্ট অধিবেশন স্থগিত করেছেন বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

কিন্তু বিরোধীরা বলছে, প্রধানমন্ত্রী তাদের আটকাতে কৌশল খাটিয়ে এ কাজ করেছেন। যেন ব্রেক্সিট নিয়ে তার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করতে এমপি’রা একজোট হতে না পারে।

বিবিসি ‍জানায়, তাই জনসনের এ  সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে  স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টির আইনপ্রণেতা জোয়ানা চেরির নেতৃত্বে একদল রাজনীতিবিদ আদালতে যান।

আদালতের রায় তাদের পক্ষে আসার পর জোয়ানা স্কাই নিউজকে বলেন, “আমরা অবিলম্বে পার্লামেন্ট অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”

যুক্তরাজ্য সরকার আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে লন্ডনের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছে। আগামী মঙ্গলবার এর শুনানি হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

মাত্র এক সপ্তাহ আগেই যুক্তরাজ্যের একটি আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, পার্লামেন্টের ‍অধিবেশন স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী আইন লঙ্ঘন করেননি।

এখন সুপ্রিম কোর্ট থেকে কী রায় আসে তা দেখার অপেক্ষা। আবার যে রায় দেওয়া হবে তা পার্লামেন্টের পাঁচ সপ্তাহের স্থগিতাদেশের উপর কতটা কার্যকর হবে তা নিয়েও অস্পষ্টতা আছে।

বিরোধী বিভিন্ন দল দ্রুত পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরু করার দাবি জানিয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বিবিসি’কে বলেছেন, তাদের ওই দাবি পূরণ হবে না।

সেক্ষেত্রে আগামী ১৪ অক্টোবরের আগে এমপি’রা পার্লামেন্টে ফেরার সুযোগ পাবেন না। ওই দিন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ নতুন সরকারের কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।