বাহামাসে হারিকেন ডোরিয়ানে ‍মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০

গত সপ্তাহে বাহামা দ্বীপপুঞ্জে হারিকেন ডোরিয়ানের তাণ্ডবে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Sept 2019, 08:36 AM
Updated : 11 Sept 2019, 08:40 AM

এদের অধিকাংশই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আবাকো দ্বীপের বাসিন্দা বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাহামাসের জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র কার্ল স্মিথ জানিয়েছেন।

বাহামাসে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী হারিকেন ডোরিয়ানের আঘাতে আবাকোর মার্শ হারবার এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এখানে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ বের করে আনা শুরু হওয়ায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে এলাকাটি ছেড়ে যাওয়া বাসিন্দারা, উদ্ধারকর্মীরা ও কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। 

আটলান্টিক মহাসাগর থেকে স্থলে উঠে আসার পর ডোরিয়ান ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ৩২০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বাহামাসে তাণ্ডব চালায়। এতে ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয় দ্বীপপুঞ্জটি।

দুর্যোগের পর ত্রাণ কাজের ধীর গতিতে স্থানীয়দের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। দেশে অনিশ্চিত পরিস্থিতি ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যেতে পারেন বলে জানিয়েছেন তাদের অনেকে। 

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন তাদের সেখানে যাওয়ার বিষয়ে সায় দিবে কিনা তা পরিষ্কার হয়নি। এই প্রশাসন বৈধ ও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের পক্ষে। 

তবে পরিস্থিতির কারণে অসহায় হয়ে পড়া বাহামিয়ানদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্বজনদের কাছে তাদের চলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি করতে ভিসার প্রয়োজনীয়তা স্থগিত করার দাবি তুলছেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা, এদের মধ্যে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান নেতা মার্কো রুবিও ও রিক স্কটও আছেন। 

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীর হিসাব অনুযায়ী, বাহামাসের প্রায় ৭০ হাজার লোকের জরুরি খাদ্য ও আশ্রয় দরকার।

পূর্বাভাসকারীদের হিসাবমতে, ডোরিয়ানের কারণে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ইন্স্যুরেন্স করা তিন বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।