চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হবে রাষ্ট্রযন্ত্রেরই ব্যর্থতা: বরিস জনসন

কোনো চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্কোচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) হলে সেটি রাষ্ট্রযন্ত্রেরই ব্যর্থতা হবে এবং ব্রিটিশ ও আইরিশ উভয় সরকারই এর জন্য দায়ী হবে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Sept 2019, 04:14 PM
Updated : 9 Sept 2019, 04:14 PM

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মত আয়ারল্যান্ড গেছেন জনসন। রাজধানী ডাবলিনে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকার সঙ্গে বৈঠকে এভাবেই ব্রেক্সিট নিয়ে নিজের অবস্থানের তুলে ধরেন তিনি।

বিবিসি জানায়, দুই মাস আগে ক্ষমতায় আসার পরপরই ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনার জন্য বরিস জনসনকে ডাবলিনে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন আইরিশ প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে। প্রতিশ্রুতি পূরণে যেকোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ে সম্পোর্কোচ্ছেদ করতে মরিয়া জনসন।

কৌশল হিসেবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে পার্লামেন্টের অধিবেশ স্থগিতের অনুমতিও আদায় করেছেন তিনি।  অন্যদিকে, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে আদাজল খেয়ে নেমেছেন বিরোধী দলগুলো। বিদ্রোহী কনজারভেটিভ এমপি’রা তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শক্তি বাড়িয়েছে।

কনজারভেটিভ এমপিরা তার খসড়া ব্রেক্সিট চু্ক্তিতে অনুমোদন না দিলে অক্টোবরে আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জনসন।

পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিতের আগেই আগাম নির্বাচন নিয়ে ভোটভুটি হবে বলে নিশ্চিত করেছে জনসন সরকার। বিরোধী দলগুলো আগাম নির্বাচনের বিপক্ষে ভোট দেবেন বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে জনসন অক্টোবরে আগাম নির্বাচনের ডাকও দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ডাবলিনে জনসন বলেন, তার বিশ্বাস এখনো নির্ধারিত সময়েই বেক্সিট সম্ভব। কিন্তু ভারাদকার ব্রেক্সিটের কোনো পথই দেখছেন না।

ওদিকে, জনসন বিরোধীরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট বা আগাম নির্বাচন কোনোটাই চাইছেন না। বরং তারা ব্রেক্সিটের সময় দ্বিতীয় দফায় বাড়াতে চাইছেন। আইরিশ প্রধানমন্ত্রী ভারাদকারও তাদের প্রতি নিজের সমর্থন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, বরিস জনসন বেক্সিট চুক্তির জন্য সময় বাড়াতে নারাজ। তিনি মনে করেন, অক্টোবরে ইইউ সম্মেলনের সময়ের মধ্যেই একটি ব্রেক্সিট চুক্তি হওয়া এখনো সম্ভব।

এর আগে পার্লামেন্টে যে সিদ্ধান্তই আসুক জনসন জানিয়েছেন তিনি ‘ভয় পান না’। জনসন বলেন, “চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পরিণতি কী হতে পারে আমি তা জানি। এ কারণে আমি একটি চুক্তি করতে চাইছি।”

“আমাদের অবশ্যই পার্লামেন্টর ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ইইউ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুবা যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপর যে আস্থা আছে তার স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যাবে।”

বিবিসি জানায়, উভয় নেতা প্রথমে আধঘন্টা একান্তে বৈঠক করেন। পরে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে আরো আধঘন্টা আলোচনা করেন তারা।

বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “কিছু কিছু বিষয়ে তারা একমত হয়েছেন, যদিও এখন তাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। এই আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে।”