সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৪২তম অধিবেশনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ব্যাচেলে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
বক্তৃতায় তিনি বলেন, “ভারত সরকারের কঠোর ব্যবস্থার কারণে কাশ্মীরিদের মানবাধিকার যেভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে তা নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সেখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিধিনিষেধ আরোপ এবং স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মীদের আটক করা নিয়েও আমি চিন্তিত।”
“আমি ভারত ও পাকিস্তান সরকারের কাছে বারবার মানবাধিকারকে সম্মান দেখানো এবং তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছি। এছাড়ও, ভারত সরকারের কাছে বিশেষভাবে কাশ্মীরের চলমান কারফিউ বা অচলাবস্থা তুলে নেওয়ার অনুরোধও করেছি; যাতে সাধারণ মানুষের নূন্যতম চাহিদা পূরণের সুযোগ সুনিশ্চিত হয়।”
যাদের আটক করা হয়েছে তারাও যেন সব ধরনের মানবিক সুযোগ সুবিধা পায় তা নিশ্চিত করার অনুরোধও করেছেন ব্যাচেলে। তিনি বলেন, “সরকারি যেকোনো সিদ্ধান্ত যা কাশ্মীরের জনগণের ভবিষ্যতের উপর প্রভাব ফেলবে তা অবশ্যই তাদের পরামর্শ মত এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ।”
গত ৫ অগাস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। তার একদিন আগে থেকেই পুরো কাশ্মীর নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এখনো কার্যত অবরুদ্ধ ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীর। রোববার সেখানে কয়েকটি স্থানে ফের কারফিউ জারি হয়েছে।
ভারতের আরেক রাজ্য আসামে সদ্য প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্যাচেলে বলেন, আসামে এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সেখানে বড়ধরনের অনিশ্চয়তা ও আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
গত ৩১ অগাস্ট আসাম সরকার এনআরসি’র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। যে তালিকায় ১৯ লাখ মানুষের জায়গা হয়নি। যদিও রাজ্য সরকার বলেছে, বাদ পড়া ব্যক্তিরা এখনই বিদেশি বলে গণ্য হবেন না। তারা আপিল করার সুযোগ পাবেন।
ব্যাচেলে ভারত সরকারের কাছে ওই আপিল প্রক্রিয়া যথা নিয়মে হওয়া নিশ্চিত করা, তার আগে জোর করে কাউকে বিতাড়ন কিংবা বন্দিশিবিরে নেওয়া বন্ধ করা এবং সাধারণ মানুষকে রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ার ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা দেওয়ার অনুরোধও করেছেন।