কাশ্মীরে সংঘর্ষের পর কারফিউ জারি

নিরাপত্তা বাহিনী ও শিয়া মুসমানদের মধ্যে সংঘর্ষের পর কাশ্মীরের শ্রীনগরের বেশিরভাগ এলাকায় পুনরায় কারফিউ জারি করেছে ভারত।

>>রয়টার্স
Published : 8 Sept 2019, 03:28 PM
Updated : 8 Sept 2019, 03:28 PM

কর্মকর্তারা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় শ্রীনগরের শিয়া অধ্যুষিত রেইনাওয়ারি ও বাদগ্রামে ওই সংঘর্ষে অন্তত ১২ বেসামরিক নাগরিক এবং ছয় সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।

উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে সেনারা টিয়ার গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভারতীয় কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “মধ্যরাত পর্যন্ত ওই সংঘর্ষ চলেছে।”

এরপরই রোববার সকালে পুলিশ ভ্যান থেকে লাউড স্পিকারে নগরীর লাল চক ও আশেপাশের এলাকায় কারফিউ জারির ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ জনগণকে বিনা কারণে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরমর্শ দেয়।

হিজরি সনের প্রথম মাস মুহাররমে মুলসমানদের পবিত্র ধর্মীয় অনুষ্ঠান আশুরার প্রস্তুতি হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় শিয়া সম্প্রদায়ের লোকজন তাজিয়া মিছল বের করেছিল।

মিছিলটি প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পথ প্রদক্ষিণ করে। এ সময় নগরীর সিটি সেন্টারের কাছ দিয়ে যাওয়ার সময় হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরা নিরাপত্তা বাহিনী মিছিলে বাধা দিলে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পাথর নিক্ষেপ শুরু করে।

পুলিশ মহররমের শোক মিছিলে বাধা দিতে চেষ্টা করায় গত তিন/চার দিন ধরে রেইনাওয়ারিতে মাঝে মধ্যেই সংঘর্ষ হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় এক বাসিন্দা। তিনি বলেন, “গত কয়েক দিন ধরে সন্ধ্যায় আমরা টিয়ার গ্যাস ছোড়ার কান ফটানো আওয়াজ পাচ্ছি। আমরা বেশিরভাগ সময় ঘরের ভেতরই অবস্থান করছি। কিন্তু গ্যাসের ঝাঁজ ঘরের ভেতরও চলে আসায় আমরা ঘুমাতে পারছি না।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের পক্ষ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্রের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

তবে দেশটির একজন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওই অঞ্চলে নৃশংসতা ছড়ানোর চেষ্টা করার অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, “শান্তি এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য দায়িত্বপূর্ণ কড়াকড়ি প্রয়োজন।”