উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ সংবাদ সংস্থা শনিবার এ ঝড়ের কারণে ৪৬,২০০ হেক্টর কৃষিজমি নষ্ট হওয়ার কথা জানিয়েছে।
ইতোমধ্যেই তীব্র খাদ্য সংকটে থাকা উত্তর কোরিয়া এ কৃষিজমি নষ্টের কারণে আরো খারাপ পরিস্থিতিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ বছরের শুরুর দিকে ১ কোটি উত্তর কোরীয়র জরুরি খাদ্য সাহায্য দরকার বলে সতর্ক করেছিলে জাতিসংঘ।
তাই এবার টাইফুন লিংলিংয়ের কবল থেকে শস্য, বাঁধ এবং জলাধারগুলোর সুরক্ষাকেই প্রাথমিক অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
বন্যাকবলিত হওয়ার আশঙ্কা আছে এমন সব জায়গা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেতু এবং ভবনের মতো অবকাঠেোগুলোর ওপরও নজর রাখা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার আগে শনিবার ভোররাতে লিংলিং দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে আঘাত হেনেছিল। এরপর সকালে দেশটির পশ্চিম উপকূল ধরে তাণ্ডব চালিয়ে বিকালে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার পশ্চিম উপকূল ধরে এগিয়ে যাওয়ার সময় লিংলিংয়ের তাণ্ডবে তিনজন নিহত হওয়া ছাড়াও এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গাছপালা উপড়ে পড়ে; এ সময় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে দুইশরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়।