লিংলিং শনিবার ভোররাতে দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু দ্বীপে আঘাত হানে, এরপর সকালে দেশটির পশ্চিম উপকূল ধরে তাণ্ডব চালিয়ে বিকালে উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে যায়; জানিয়েছে এবিসি নিউজ, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ কোরিয়া পশ্চিম উপকূল ধরে এগিয়ে যাওয়ার সময় লিংলিংয়ের তাণ্ডবে ওই এলাকার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, গাছপালা উপড়ে পড়ে; এ সময় দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে দুইশরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বোরিয়ংয়ে বাতাসের তোড়ে ৭৫ বছর বয়সী এক নারী উড়ে গিয়ে ৩০ মিটার দূরে একটি দেয়ালে আছড়ে পড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
আরেক পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ইনছানে একটি হাসপাতালের পাকিং লটের দেয়াল ধসে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হন। সীমান্ত শহর পাজুতে বাড়ির ছাদ থেকে উড়ে আসা টালির আঘাতে এক চীনা নাগরিক নিহত হয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আহত আরও অন্তত ১০ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার জানিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর কোরিয়ার ভিতরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
পুরোপুরি স্থলে ওঠার পর এর শক্তি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সকালে ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে তাণ্ডব চালানোর পর লিংলিং কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘণ্টায় একটানা সর্বোচ্চ ১১৫ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে কোরিয়ান মিটিওরোলজিক্যাল অ্যাডমিনিস্ট্রেইশন।
ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের ওপর দিয়ে যাবে এমন ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।