পারিবারিক আনুগত্য এবং জাতীয় স্বার্থের সংঘাতের কারণে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।
এক টুইটে জো জনসন বলেন, তিনি এক অপরিসীম উদ্বেগের মধ্যে আছেন এবং তার জায়গায় এখন অন্য কারো আসার সময়।
বাণিজ্য মন্ত্রী এবং দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের অর্পিংটনের এমপি জো জনসন ২০১৬ সালের গণভোটে যুক্তরাজ্যের ইইউয়ে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভাই বরিস জনসন তখন ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন।
গত বছর যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র সময়ও তার ব্রেক্সিট চুক্তির বিরোধিতা করে পদত্যাগ করেছিলেন জো জনসন। কিন্তু এবছর বরিস জনসন নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর আবার সরকারে ফিরে আসেন জো জনসন।
বর্তমানে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবের ওপর ভোটে বরিস জনসনের পরাজয়ের আগের ঘোষণা অনুয়ায়ী ৩১ অক্টোবরে ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা দোদুল্যমান হয়ে পড়ার মুহূর্তেই জোয়ের পদত্যাগের এ ঘোষণা এল।
তার এ পদত্যাগের ঠিক আগেই বরিস জনসন তার দল থেকে ২১ জন আইনপ্রণেতাকে বহিস্কার করেন। কারণ, তারা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের বিপক্ষে ভোট দিয়ে নিজ দলের বিপক্ষেই ভোট দিয়েছিলেন। এ অবস্থাতেই জাতীয় স্বার্থের কথা বিবেচনায় রেখে জো জনসন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন।
বরিস জনসন সরকার আগাম নির্বাচন নিয়ে সোমবার আরেকদফা ভোটের ঘোষণা দিয়েছে। এমন সময়ে জোয়ের পদত্যাগ বরিসের জন্য একটি বড় ধাক্কা।