কাবুলে আত্মঘাতী হামলা, তালেবানের দায় স্বীকার

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়ের কাছাকাছি একটি এলাকায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়েছে তালেবান বিদ্রোহীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2019, 10:00 AM
Updated : 5 Sept 2019, 10:00 AM

বৃহস্পতিবার এক আত্মঘাতী হামলাকারী নিজেকে উড়িয়ে দেয়ার পর বিস্ফোরণে এলাকাটির বিভিন্ন ভবনের জানালা-দরজা কেঁপে ওঠে বলে সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মার্কিন দূতাবাস ও আফগানিস্তানে নেটো বাহিনীর সদরদপ্তরের কাছে প্রধান সড়কের চেকপয়েন্টে এ হামলায় কেউ হতাহত হয়েছে কিনা, বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে তা নিশ্চিত হতে পারেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি নিয়ে দরকষাকষিতে থাকা তালেবান বিদ্রোহীরা পরে এ হামলার দায় স্বীকার করে নেয়।

“বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ও উদ্ধার দল বিস্ফোরণস্থলের দিকে রওনা হয়েছে,” বলেছেন আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিও ফুটেজে বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানের ছিন্নভিন্ন অবস্থা এবং পুলিশের ঘটনাস্থল ঘিরে রাখার চিত্র মিলেছে।

রয়টার্স বলছে, তালেবানদের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তির আলোচনা পরিণতির দিকে এগিয়ে গেলেও আফগানিস্তানে সহিংসতা থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।

সোমবারও কাবুলে আন্তর্জাতিক একটি সংস্থার ব্যবহৃত একটি স্থাপনায় তালেবানদের আত্মঘাদী ট্রাক বোমা হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছিল। 

এদিকে চলতি সপ্তাহেই আফগান ও মার্কিন কর্মকর্তারা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার ১৩৫ দিনের মধ্যে আফগানিস্তানের ৫টি সেনাঘাঁটি থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের একটি খসড়া কাঠামো নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী জালমে খলিলজাদ।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে এখনও ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রায় ১৪ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

খসড়া সমঝোতার বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে খলিলজাদ শিগগিরিই আফগান ও নেটো কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এই খসড়া অবশ্যই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অনুমোদিত হতে হবে।

ভেটেরান আফগান-আমেরিকান কূটনীতিক খলিলজাদ খসড়ার বিস্তারিত এরই মধ্যে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানিকে জানিয়ে তার মতামত চেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে আফগানিস্তানের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার খসড়া চুক্তি বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।