প্রেসিডেন্টের এক মুখপাত্র বুধবার আশরাফের এই উদ্বেগের কথা জানান।
টুইটারে ঘানির প্রধান মুখপাত্র সাদিক সিদ্দিকী বলেন, “আমরা বিপদ এড়াতে চুক্তিটির সম্ভাব্য বিপজ্জনক এবং নেতিবাচক পরিণতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করতে চাই। এজন্য আমরা চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য হাতে আসার অপেক্ষায় আছি।”
দীর্ঘ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে শান্তির পথরেখা তৈরি নিয়ে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে কয়েক দফা আলোচনার পর উভয়পক্ষ একটি ‘নীতিগত’ চুক্তিতে উপনীত হয়েছে বলে সোমবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে জানান ওয়াশিংটনের শীর্ষ মধ্যস্থতাকারী জালমে খলিলজাদ।
ওই সাক্ষাৎকারে চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। বলেন, চুক্তির আওতায় আগামী ২০ সপ্তাহের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে পাঁচ হাজার ৪০০ সেনা প্রত্যাহার এবং সেখানে পাঁচটি সেনাঘাঁটি বন্ধ করে দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিনিময়ে তালেবানকে এ নিশ্চয়তা দিতে হবে যে, কোনো জঙ্গি সংগঠন আফগানিস্তানকে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র বা তাদের মিত্র দেশে হামলা চালানোর সুযোগ পাবে না।
যদিও চুক্তিটি এখনো যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার অপেক্ষায় আছে।
অনেক গবেষকদের আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্র – তালেবান চুক্তি হলেও আফগানিস্তানের পরিস্থিতি পরিবর্তনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।