সিরিয়ার ইদলিবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

সিরিয়ার বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব প্রদেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Sept 2019, 05:33 AM
Updated : 1 Sept 2019, 05:33 AM

শনিবার সেখানে আল কায়েদা নেতাদের একটি দলের ওপর হামলাটি চালানো হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে।

এক ইমেইল বিবৃতিতে সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, যাদের লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছে তারা ‘যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের, আমাদের পিতামাতাদের ও নিরপরাধ বেসামরিকদের জন্য হুমকি সৃষ্টিকারী হামলার জন্য দায়ী’।

বিবিসি জানিয়েছে, বিবৃতিতে বিস্তারিত আর কিছু জানানো হয়নি; কিন্তু অন্যান্য প্রতিবেদনে ইদলিবে জিহাদপন্থিদের একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে চালানো ওই ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হয়েছেন বলে বলা হয়েছে।

রাশিয়ার সমর্থনে সিরিয়ার সরকারি বাহিনীগুলো ইদলিবে একতরফা সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার পরপরই হামলার এ ঘটনাটি ঘটে। শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ওই যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর যুদ্ধক্ষেত্র শান্ত হয়ে ছিল বলে প্রাথমিক প্রতিবেদনগুলোতে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

বিদ্রোহী অধিকৃত ইদলিব পুনরুদ্ধারে এপ্রিলের শেষ দিকে সেখানে বিমান হামলা শুরু করেছিল সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের অনুগত সরকারি বাহিনী। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আসাদের স্থল বাহিনীও সেখানে অভিযান শুরু করে এগিয়ে যাওয়া শুরু করেছিল।

তারা খান শেইখৌন শহরের মতো কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো পুনরুদ্ধার করে। খান শেইখৌন শহরটি গত পাঁচ বছর ধরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। 

কিন্তু সরকারি বাহিনীর হামলায় ইদলিবে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হচ্ছে বলে বারবার সতর্ক করছিল জাতিসংঘ। জাতিসংঘের আবেদনে সাড়া দিয়েই সেখানে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে সিরিয়ার সরকারি বাহিনী।

২০১১ সালের মার্চে শুরু হওয়া সিরিয়ার যুদ্ধে এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ লোক নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। গত আট বছরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে ৫৬ লাখেরও বেশি নাগরিক এবং প্রায় ৬৬ লাখ ঘরবাড়ি হারিয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

দীর্ঘদিন ধরে চলা এ যুদ্ধে রাশিয়া ও ইরানের প্রত্যক্ষ সামরিক সহযোগিতায় প্রেসিডেন্ট আসাদ দেশের অধিকাংশ এলাকার ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন, এরপর ইদলিবের দিকে দৃষ্টি দিয়েছেন তিনি।