ইবোলা: কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে মৃতের সংখ্যা ২০০০ ছাড়াল

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে ইবোলা মহামারিতে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 August 2019, 09:44 AM
Updated : 30 August 2019, 09:44 AM

শুক্রবার দেশটির এক সরকারি নথিতে এ তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

বিস্তৃত নিরাপত্তা ঝুঁকি ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে থাকা প্রবল অনাস্থা উৎরে স্বাস্থ্যকর্মীদের তীব্র লড়াইয়ের মধ্যেই পূর্বাঞ্চলে প্রাণঘাতি এ ভাইরাসটি আরও ছড়িয়ে পড়ছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আগেই সতর্ক করেছিল।

দেশটিতে এ নিয়ে ইবোলার দশম মহামারি চলছে। বছরখানেক আগে শুরু হওয়া এ দফার মহামারিতে আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার টপকেছে বলেও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। 

“কার্যকর চিকিৎসার জন্য জনগণের উচিত নিজেদের ওপর ও স্বাস্থ্যকর্মীদের তদারকির ওপর আস্থাশীল হওয়া উচিত। এর জন্য সময়, সম্পদ ও প্রচুর পরিশ্রম লাগবে,” এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ফেডারেশন।

দেশের বিভিন্ন স্থানে আগে ইবোলার বিস্তৃতি থাকলেও নর্থ কিভু ও ইতুরি প্রদেশে এবারই প্রথম এ ভাইরাসটি মহামারি হয়ে আঘাত হেনেছে।

কর্মকর্তারা চলতি মাসে সাউথ কিভু প্রদেশেও প্রথমবারের মতো এক ইবোলা রোগীর সন্ধান পেয়েছেন।

“কার্যত সকল অংশীদারদের নিয়েই আমরা মানুষের কাছে, আক্রান্তদের কাছে, যত দ্রুত সম্ভব তাদের রোগ শনাক্তে লড়াই করছি,” মঙ্গলবার এমনটাই বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ক্রিস্টিয়ান লিন্ডমেয়ার।

প্রাণঘাতি এ ভাইরাস আফ্রিকার ওই অঞ্চলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে- গত সপ্তাহে এমন আশঙ্কার কথা জানালেও গোমার মতো বড় শহরে এখনও ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব না দেখে স্বস্তিও প্রকাশ করে এ আন্তর্জাতিক সংস্থাটি।

মহামারি আকারে ছড়িয়ে না পড়লেও জুলাই ও অগাস্টের শুরুতে গোমায় ইবোলা আক্রান্ত ৪ জনের সন্ধান মিলেছিল।

কঙ্গোর প্রতিবেশী উগান্ডার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সীমানা পেরোনো এক কিশোরির দেহে ইবোলার অস্তিত্ব পাওয়ার পর তাকে কঙ্গোতে চিকিৎসার জন্য ফেরত পাঠিয়েছে।

এ নিয়ে জুন থেকে মোট ৪ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি, যারা কঙ্গো থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে উগান্ডায় ঢুকেছিলেন।

মৃতের সংখ্যা বিবেচনায় কঙ্গোর এ দফার মহামারিকে ২০১৩-২০১৬ পর্যন্ত পশ্চিম আফ্রিকায় দেখা দেওয়া মহামারির পরেই স্থান দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

সেবার প্রায় ২৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন, প্রাণ হারিয়েছিলেন ১১ হাজার ৩০০র বেশি।