প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো সোমবার একথা জানিয়েছেন। তবে রাজধানীর নাম এখনো নাম চূড়ান্ত হয়নি।
জনাকীর্ণ, দূষিত এবং ধীরে ধীরে সাগরে তলিয়ে যাওয়া রাজধানী জাকার্তাবাসীকে মুক্তি দিতেই ইন্দোনেশিয়া রাজধানী পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবিসি জানায়, প্রায় অর্ধেক জাকার্তার বর্তমান অবস্থান সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে। সেখানে বাস করা এক কোটির বেশি মানুষের বেশির ভাগই এখন জলাভূমিতে বাস করছেন। নগরীর কিছু কিছু এলাকা বছরে ২৫ সেন্টিমিটারের বেশি তলিয়ে যাচ্ছে।
দুইটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চল কুতাই কেরতানেগারা জেলার কিছু অংশ ও পেনাজাম পাসের উতারা জেলার কিছু অংশ মিলে নতুন রাজধানী গড়ে তোলা হবে।
টেলিভিশনে এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট উইদোদো বলেন, “নতুন রাজধানী যেখানে গড়ে তোলা হবে সেটি কৌশলগত দিক দিয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। অঞ্চলটি একই সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার কেন্দ্রে এবং শহরাঞ্চলের কাছে।”
“জাকার্তায় বর্তমানে কেন্দ্র সরকার পরিচালনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং বিভিন্ন সেবা পরিচালনার ভার রীতিমত বোঝায় পরিণত হয়েছে।”
নতুন রাজধানী যেখানে বানানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে প্রকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কম বলেও জানান তিনি।
বিবিসি জানায়, রাজধানী পরিবর্তনের এই উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ইন্দোনেশিয়া সরকারকে ৪৬৬ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ (প্রায় ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) খরচ করতে হবে। যদিও জাকার্তায় এক ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণেই বছরে ১শ’ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ খরচ হয়ে যায়।
নতুন পরিকল্পনায় যেখানে রাজধানী বানানোর কথা ভাবা হচ্ছে সেখানে নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যাপক এবং বিস্তারিত আকারে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। যা ওই অঞ্চলে বসবাস করা প্রাণীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবীদরা; বিশেষ করে কালিমানতানে। বিশ্বের হাতে গোনা যে কয়টি এলাকায় এখনো প্রকৃতিক পরিবেশে ওরাংওটাং বাস করে, তার একটি কালিমানতান।
‘গ্রিনপিস ইন্দোনেশিয়া’র কর্মী জেসমিন পুত্রী বলেন, “নতুন রাজধানী যেন বন্যপ্রাণীদের জন্য সংরক্ষিত বা সুরক্ষিত এলাকায় না হয় সেটা সরকারকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।”
কালিমানতানের জঙ্গলে শুষ্ক মৌসুমে দাবানলের ঘটনাও নিয়মিত ঘটে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে সেখানে ভয়াবহ দাবানল হয়েছিল।