দোকদো দ্বীপের আশপাশে দক্ষিণ কোরিয়ার মহড়া, জাপানের প্রতিবাদ

জাপান সাগরে অবস্থিত বিতর্কিত একটি দ্বীপের চারপাশে দক্ষিণ কোরিয়ার দুই দিনের বিস্তৃত সামরিক মহড়ার কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে টোকিও।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2019, 10:33 AM
Updated : 25 August 2019, 10:33 AM

দোকদো দ্বীপটি দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপান এর মালিকানা দাবি করে আসছে।

টোকিও দুই দেশের ভূখণ্ড থেকে প্রায় সমদূরত্বে অবস্থিত এ দ্বীপটিকে তাকেশিমা নামে ডাকে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

যুদ্ধকালীন ইতিহাস নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে বছরখানেক ধরেই ক্রমাবনতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রোববারের মহড়াটি শুরুর কয়েকদিন আগেই সিউল প্রতিবেশী জাপানের সঙ্গে তথ্য আদানপ্রধান সম্পর্কিত একটি চুক্তিও বাতিল করে দিয়েছিল।

দোকদো দ্বীপের আশপাশে দুই দিনের এ মহড়ায় নৌ, বিমান ও সশস্ত্র বাহিনীর পাশাপাশি মেরিন সেনারাও অংশ নিচ্ছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অ্যাখ্যা দিয়ে জানানো এক প্রতিবাদে মহড়াটি বন্ধের দাবি জানিয়েছে।

টোকিওতে অবস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার দূতাবাসে পাঠানো বিবৃতিতে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এশিয়ান অ্যান্ড ওশেনিয়ান বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেনজি কানাসুগি বলেছেন, “দ্বীপটি অবশ্যই জাপানের ভূখণ্ডের অন্তর্গত অংশ।”

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল ব্লু হাউসের মুখপাত্র কো মিন জুং বলেছেন, বার্ষিক এ মহড়া কোনো নির্দিষ্ট দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।

“এ মহড়া হচ্ছে আমাদের ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়,” সিউলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন এ নারী।

এবারের মহড়ায় প্রথমবারের মতো মার্কিন এইজিস কম্ব্যাট ব্যবস্থাপনায় সজ্জিত একটি ডেস্ট্রয়ার ও সেনাবাহিনীর বিশেষ দল অংশ নিচ্ছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নৌ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাপান সাগর ঘিরে উত্তেজনা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মধ্যে অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এ অঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার ঘনঘন ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ এবং চীন ও রাশিয়ার আগ্রাসী সামরিক টহলের পরিমাণও বাড়ছে। 

জুলাইয়ে বিতর্কিত এ দ্বীপটির কাছে রাশিয়ার একটি সামরিক বিমান চলে আসার পর জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া উভয়েই আকাশসীমা লংঘনের অভিযোগে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।