ভারতের সঙ্গে আর কথা বলার আগ্রহ নেই: ইমরান খান

কাশ্মীর নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা চালাতে পাকিস্তান আর আগ্রহী নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

>>দ্যনিউ ইয়র্ক টাইমস
Published : 22 August 2019, 01:00 PM
Updated : 22 August 2019, 01:00 PM

বুধবার ইসলামাবাদে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইমরান একথা বলেন।

তার এমন মন্তব্যে পরমাণু শক্তিধর দেশ দু’টির মধ্যে সামরিক উত্তেজনার হুমকি আরো বাড়ল।

সাক্ষাৎকারে পাক-প্রধানমন্ন্ত্রী ইমরান তিক্ততার সুরে অভিযোগ করে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে গত ৫ অগাস্টের আগে ও পরে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ফলে তাদের (ভারত) সঙ্গে আলোচনার আর কোনো মানে হয় না।

তিনি বলেন, “আমার যা কিছু বলার ছিল সবই বলেছি। কিন্তু এখন চিন্তা করে দেখছি, আমার এতদিনের শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং আলোচনার সব প্রস্তাবকেই তারা তাদেরকে তুষ্ট করার চেষ্টা বলে ধরে নিয়েছে, এটি দুঃখজনক। আমাদের আর এর চেয়ে বেশিকিছু করার নেই।”

ভারত সরকার গত ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে বার বার নরেন্দ্র মোদীর হিন্দুত্ববাদী সরকারের সমালোচনা করে এসেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।

ভারত সরকারের সিদ্ধান্তের জেরে কাশ্মীরে যাতে বিক্ষোভ দানা বেঁধে উঠতে না পারে সেজন্য অঞ্চলটিকে আগে থেকেই পরিকল্পনা করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়। মোতায়েন হয় সেনা, ধরপাকড় করা হয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ অনেককে। বন্ধ করে দেওয়া হয় সব যোগাযোগও। ভারত সরকার থেকে এখন সেখানে পরিস্থিতির উন্নতির কথা বলা হলেও এখনো স্বাভাবিক হয়নি কাশ্মীর পরিস্থিতি।

কাশ্মীরে এ অচলাবস্থা শুরুর পর এই প্রথমবারের মতো কোনো আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ইমরান খান। এর মধ্য দিয়ে কাশ্মীরে যা চলছে তা নিয়ে মূলত প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে ভারতের সংকীর্ণমনতা নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন ইমরান

কাশ্মীর পরিস্থিতি সম্পর্কে সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ৮০ লাখ মানুষের জীবন ঝুঁকিতে আছে। সেখানে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান এমনকী গণহত্যাও অচিরেই ঘটতে পারে বলে আমরা উদ্বিগ্ন।” তবে ভারতের মোদী সরকার এমন অভিযোগ উদ্ভট বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলার একদিন পরই নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ সাক্ষাৎকার দেন ইমরান খান। তার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ভারত সরকার এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।