বিবিসি জানায়, সোমবার রাতে ওই বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যায়।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পতাকার প্রতি অসম্মান দেখানোর অভিযোগে কয়েকদিন আগে ওয়েস্ট পাপুয়া প্রদেশের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
সাবেক ডাচ কলোনি পাপুয়া ১৯৬১ সালে নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু পশ্চিমের শক্তিধর প্রতিবেশী ইন্দোনেশিয়া পরে তাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং ওয়েস্ট পাপুয়া অঙ্গরাজ্য নামে নিজেদের ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করে।
তারপর থেকেই সেখানে স্বাধীনতা আন্দোলন চলছে। ওয়েস্ট পাপুয়ায় দমন-পীড়ন ও ধরপাকড়ের কারণে ইন্দোনেশীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রায়ই মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে।
গত শনিবার ইন্দোনেশিয়ার স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়। সেদিন দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ নগরী ইস্ট জাভার সুরাবায়ার পাপুয়ান শিক্ষার্থীরা তাদের ডরমেটরির সামনে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করে বলে খবর প্রকাশ পায়।
পরে পুলিশ ওই শিক্ষার্থীদের আটক করে। যাদের মুক্তির দাবিতে সোমবার সুরাবায়া নগরীতে বিক্ষোভকারীরা বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে এবং কয়েকটি ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয়। যেগুলোর মধ্যে নগরীর সোরং এলাকার ওই কারাগারটিও ছিল।
বিক্ষোভকারীরা কারাগার ভবনে আগুন দেয় এবং পাথর নিক্ষেপ করে। হট্টগোলের ওই সুযোগে ২৫৮ জন কারাবন্দি পালিয়ে যায় বলে জানান বিচার বিভাগের মুখপাত্র মার্লিন ল্যান্ড।
“তাদের মধ্যে মাত্র পাঁচজন মঙ্গলবার সকালে ফেরত আসে। বাকিদের খোঁজা হচ্ছে।”
বন্দিদের পালিয়ে যাওয়া আটকাতে গিয়ে কয়েকজন কারারক্ষী ও কারা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।
ওদিকে, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল এবং জলকামান ব্যবহার করেছে।
পরে ওই বিক্ষোভ রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়ে।