খান শেইখৌন থেকে সরছে সিরিয়ার বিদ্রোহীরা

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা তাদের সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি ইদলিব প্রদেশের খান শেইখৌন শহর থেকেও সরে যেতে শুরু করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 August 2019, 03:32 PM
Updated : 20 August 2019, 03:32 PM

মঙ্গলবার যোদ্ধারা শহর ছেড়ে গেছে বলে বিবিসি’কে জানায় বিদ্রোহীরা।

রাশিয়ার সহযোগিতায় বাশার আল-আসাদ বাহিনী গত কয়েক সপ্তাহে ইদলিবের প্রত্যন্ত ওই শহরটির খুব কাছে চলে গেছে। যে কারণে বিদ্রোহী যোদ্ধারা শহরটি ছাড়তে শুরু করেছে।

ইদলিবই দেশটির একমাত্র প্রদেশে যেটি এখনো বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে এবং গত পাঁচ বছর ধরে খান শেইখৌনের দখল রেখেছে বিদ্রোহীরা।

খান শেইখৌনের নিয়ন্ত্রণ নিতে আসাদ বাহিনী সেখানে ২০১৭ ‍সালে নিষিদ্ধ সারিন গ্যাস হামলা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যদিও সিরিয়া সরকার জাতিসংঘের ওই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেছে।

নিষিদ্ধ রাসায়নিক হামলার কারণে সিরিয়াকে শিক্ষা দিতে যুক্তরাষ্ট্র তারপরই দেশটিতে সামরিক অভিযান চালিয়েছিল।

সিরীয় বাহিনী খান শেইখৌন শহরে পৌঁছে গেছে কিনা তা নিয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত পরষ্পর বিরোধী খবর এসেছে বলে জানায় বিবিসি।

তবে যুক্তরাজ্য ভিত্তিক সংগঠন ‘দ্য সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানায়, সরকারি বাহিনীর কাছে শহরটির পতন হয়েছে।

কিন্তু ইদলিব প্রদেশের প্রধান বিদ্রোহী দল হায়াৎ তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, শহরে বড় ধরনের বিমান ‍হামলার পর তারা নতুন করে শক্তি সংগ্রহ করছে। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ খান শেইখৌন শহর সিরিয়ার দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধে সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছে।

কারণ, বৃহৎ দুই নগরী দামেস্ক ও আলেপ্পোর সংযোগকারী মহাসড়ক এই শহরের উপর দিয়ে গেছে। এই মহাসড়ক দিয়েই বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোর মধ্যে যোগাযোগ রাখা হয়।

তাই খান শেইখৌন পুনরায় দখল নিতে পারলে আসাদ বাহিনীর জন্য তা বড় জয় বলে গণ্য হবে। শহরটি সিরিয়ার প্রধান অর্থনৈতিক পথ এম৫ মহাসড়কে অবস্থিত। এম৫ মহাসড়ক দামেস্ক, হোমস ও আলেপ্পোকে একসঙ্গে জুড়েছে।

অন্যদিকে খান শেইখৌনের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে বিদ্রোহীদের রসদের যোগানের গুরুত্বপূর্ণ একটি পথ আটকে দেওয়া যাবে।

তারচেয়ে বড় কথা খান শেইখৌনের পতন বিদ্রোহীদের বিশেষ করে হায়াৎ তাহরির আল-শামের জন্য বড় ধরনের মনস্তাত্বিক পরাজয় হবে, যা তাদের সম্মানে আঘাত হানবে।