রাশিদার ইসরায়েল সফরের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইটের প্রতিক্রিয়ায় মুফতিয়া ওই অভিশাপ দেন।
রাশিদার ৯০ বছর বয়সী নানী পশ্চিম তীরের কাছে বেইত উর আল-ফোউকা এলাকায় বাস করেন। সেখানে গ্রামের বাড়ির বাগানে বসেই তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সে এ প্রতিক্রিয়া জানান।
সম্প্রতি রাশিদা তালিব ও আরেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস নারী সদস্য ইলহান ওমরের ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিমতীর ও পূর্ব জেরুজালেম সফরের পরিকল্পনা নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষাপটে ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসেন রাশিদার নানী।
গত বুধবার ট্রাম্প দুই নারীর ওই সফর নিষিদ্ধ করতে বলার পর ইসরায়েল তাদের সফর আটকে দেয়। ইসরাইল-বিরোধী মনোভাবের অভিযোগে দুই নারীর সফর আটকায় তারা।
এরপর রাশিদা তালিব তার নানীর সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য পশ্চিম তীর সফরের অনুমতি চেয়ে ইসরায়েলকে চিঠি লিখলে মানবিক কারণে তাকে সফরের অনুমতি দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে সে অনুমতি শর্তসাপেক্ষ হওয়ায় রাশিদা তা অবমাননাকর বলে প্রত্যাখ্যান করেন।
পশ্চিমতীরে বসবাসরত রাশিদার পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা তাকে শর্ত মেনে সফরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপরই এক টুইটে সফর বাতিলের ঘোষণা দিয়ে রাশিদা বলেন, “আমাকে চুপ করিয়ে দেওয়া হবে এবং আমার সঙ্গে অপরাধীর মতো আচরণ হবে এটি নানী আশা করেন না।”
শুক্রবার এর জবাবেই ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছিলেন:
“রাশিদা তালিব নানীকে দেখতে যাওয়ার জন্য ইসরায়েলের কাছে আকুল আবেদন জানালেন। তার অনুরোধও সঙ্গে সঙ্গেই মেনে নেওয়া হল। আর তিনি তা প্রত্যাখ্যান করলেন। এ ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে কেবল জিতলেন তার নানী। তাকে এখন নাতনিকে আর দেখতে হচ্ছে না!”
ট্রাম্পের এমন কথাতেই নাখোশ হয়ে রাশিদার নানী মুফতিয়ার জবাব, “ট্রাম্প বলছেন, রাশিদা আসছে না সেটা আমার জন্য খুশির কথা-- খোদা তাকে বরবাদ করে দিন।”
রশিদার মামা জানিয়েছেন, নানী-নাতনির দেখা হয়নি সেই ২০০৬ সাল থেকে। রাশিদা আসবে বলে তার প্রিয় সব খাবার তৈরির পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন মুফতিয়া। আর রাশিদাও নানীকে দেখতে উন্মুখ ছিলেন। নানীকে তার আরেক মায়ের মতই দেখেন রাশিদা। নানীর কাছ থেকে সবসময়ই সবকিছুতে সমর্থন পেয়েছেন তিনি। তার সাফল্যেও আছে নানীরই অবদান।