ভারতের পরমাণু অস্ত্রভান্ডার অন্য দেশগুলোর জন্য আদৌ নিরাপদ কিনা তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইমরান খান বিষয়টিকে নজরে রাখার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়কে আহ্বান জানান।
ভারত এখনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে ‘প্রথমে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না’ বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকলেও আগামী দিনে এ নীতি বদলাতে পারে- এমন ইঙ্গিত দেওয়ার পর পাক-প্রধানমন্ত্রী দেশটির অস্ত্রভান্ডার নিয়ে বিশ্বকে সতর্ক হতে বললেন।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা জানায়, রোববার একাধিক টুইটে ইমরান খান বলেছেন, ‘‘ভারতের পরমাণু অস্ত্রভান্ডার থেকে অন্য দেশগুলো কতটা নিরাপদ তা গোটা বিশ্বেরই এবার গুরুত্ব দিয়ে ভাবা উচিত। কারণ, এ অস্ত্রভান্ডারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ফ্যাসিবাদী ও হিন্দু প্রভুত্ববাদী মোদী সরকারের হাতে...যার প্রভাব শুধু এ অঞ্চলেই নয়, গোটা বিশ্বেই পড়বে।’’
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ গত শুক্রবারেই রাজস্থানের পোখরানে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে বলেছিলেন, “ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রথম ব্যবহার না করার নীতি এখনো মেনে চলছে। তবে ভবিষ্যতে কী হবে, তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে।”
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ধারণা, কাশ্মীরের বিষয়টি থেকে বিশ্বের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরাতেই ভারত পরমাণু যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে। ইমরান গত ১৪ অগাস্টে পাক-শাসিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরবাদে এক ভাষণে ভারত এমন উদ্দেশ্য নিয়ে আজাদ কাশ্মীরে হামলার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছিলেন।
গত ৫ অগাস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসনের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত সরকার। পাশাপাশি রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার ঘোষণাও দেয়। পাকিস্তান এর প্রতিবাদে ভারতের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করতে শুরু করলে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং বৈরিতার আবহ সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যে ভারত পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ নীতি বদলের আভাস দেওয়ার পর শনিবারই ইসলামাবাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের দিক থেকে যে কোনও পরমাণু হানার জন্য ‘পুরোপুরি প্রস্তুত’ রয়েছে পাকিস্তান।