মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এবং এক প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স শনিবার এ তথ্য জানায়।
চীন সীমান্তবর্তী রাজ্য শান স্টেটের সবচেয়ে বড় শহর লাশিও থেকে ১৩ মাইল দূরে এ ঘটনা ঘটে।
সেখানে আদিবাসী ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ দলগুলো স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। বিদ্রোহ দমনে কেন্দ্র সরকার সেখানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
নিহত ব্যক্তি ‘লাশিও ইয়ুথ চ্যারেটি অ্যাসোসিয়েশন’র প্রধান বলে জানান সংগঠনটির আহত সদস্য অং কিয়াও মোয়ে।
তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “স্নাইপার রাইফেল দিয়ে আমাদের চেয়ারম্যানকে গুলি করা হয়, গুলি তার মাথার পাশে লাগে। তারপর অ্যাম্বুলেন্সে গ্রেনেড হামলা করা হলে সেটি উল্টে যায় এবং তিনি মারা যান।”
বিচ্ছিন্নতাবাদী দল ‘নর্থান অ্যালিয়েন্স’ এ হামলা চালিয়েছে বলে দাবি তার।
শনিবার মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে ওই ইয়ুথ গ্রুপের একটি অ্যাম্বুলেন্স কাত হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। যেটির পেছনের জানালায় গুলির গর্ত দেখা যাচ্ছে। আর কয়েকজন রক্তাক্ত একজনকে সরিয়ে নিচ্ছেন।
গত বৃহস্পতিবার নর্দান অ্যালিয়ান্স ওই অঞ্চলে আক্রমণ করে। তাদের হামলায় সেনা কর্মকর্তাসহ প্রায় এক ডজন মানুষের মৃত্যু হয়।
তারপর থেকেই সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সেনা মুখপাত্র তুন তুন নি বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শনিবার সকালে একটি পেট্রোল স্টেশন এবং একটি সেতুতে হামলা চালায়। ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যরা উদ্ধার কাজের জন্য সেখানে যাচ্ছিলেন। পথে তাদের অ্যাম্বুলেন্সের উপর হামলা হয়।