গ্রিনল্যান্ড কিনে নিতে চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের পরিসর বাড়াতে গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ কিনে নিতে চান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তিনি গোপনে তার সহযোগী ও উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 16 August 2019, 12:07 PM
Updated : 16 August 2019, 02:26 PM

বৃহস্পতিবার একথা জানিয়েছেন বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা।

উত্তর আটলান্টিক ও আর্কটিক মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত সুবৃহৎ দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড ডেনমার্কের একটি স্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃত।

বরফাচ্ছাদিত এ দ্বীপটি কেনার কথা শুনে বিষয়টি হেসেই উড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্পের কয়েকজন উপদেষ্টা। আবার হোয়াইট হাউজের অনেকেই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন।

গ্রিনল্যান্ড কিনতে চাওয়ার খবরটি প্রথম এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। বলা হয়েছে, ট্রাম্প খুব গুরুত্ব সহকারেই দ্বীপটি কেনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে হোয়াইট হাউজ এ খবরের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

কেবল ট্রাম্পই নন, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক আরেক প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ১৯৪৬ সালে ১০ কোটি ডলারে কেনার প্রস্তাব করেছিলেন।

সেপ্টেম্বরের শুরুতে ডেনমার্ক সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তবে সফরকালে ডেনমার্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে গ্রিনল্যান্ড কেনার বিষয়টি থাকবে বলে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

কয়েক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নর্দান সামরিক বিমান ঘাঁটি রয়েছে গ্রিনলান্ডে। দ্বীপটির কৌশলগত অবস্থান এবং এর খনিজ সম্পদের কারণে চীন, রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বড় বড় শক্তির দেশগুলোর নজর পড়ছে এর ওপর।

গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়া আগ্রাসী আচরণ করছে এবং সেখানে চীনের কর্মকান্ডও কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।

ডেনমার্কের সঙ্গে ১৯৫১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আওতাতেই নর্দার্ন গ্রিনল্যান্ডে বিমান ঘাঁটি করে সামরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করে যুক্তরাষ্ট্র।