টিভি অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সতর্কবার্তার শব্দ বাজানোর খেসারত ৩ লাখ ৯৫ হাজার ডলার

এবিসির মধ্যরাতের জনপ্রিয় টক শো জিমি কিমেল লাইভে মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যালার্টের ‘টোন’ বাজানোয় ৩ লাখ ৯৫ হাজার ডলার জরিমানা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 August 2019, 06:28 AM
Updated : 16 August 2019, 06:28 AM

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণকে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বার্তা পৌঁছে দিতে চালু করা ওই অ্যালার্ট নিয়ে ব্যঙ্গ করতে গিয়ে গতবছর ৩ অক্টোবর জিমি কিমেল লাইভে তিনবার ওই অ্যালার্ট টোন বাজানো হয়।

যেদিন ওই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করা হয়, সেদিনই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের কাছে পরীক্ষামূলকভাবে ওই অ্যালার্ট পাঠানো হয়। ২০ কোটি মানুষের স্মার্টফোনে সেদিন সেই পরীক্ষামূলক ‘অ্যালার্ট’ পৌঁছায়।

ফোনে বিশেষ ওই টোন বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে একটি নোটিফিকেশন আসে, যেখানে লেখা ছিল- এটা ন্যাশনাল ওয়্যারলেস ইমার্জেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেমের একটি পরীক্ষামূলক বার্তা। এটা পেলে কিছু করার প্রয়োজন নেই।     

ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সন্ত্রাসী হামলার মত ঘটনায় জনগণকে সতর্ক করতে ওই অ্যালার্ট চালু করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি-ফেমা।

সেরকম জরুরি কোনো পরিস্থিতি তৈরি হলে কেবল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফেমাকে ওই অ্যালার্ট পাঠানোর নির্দেশ দিতে পারবেন। 

 

যুক্তরাষ্ট্রে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন-এফসিসি বলছে, প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যালার্টের টোন জিমি কিমেলের টক শোতে ব্যবহার করে এবিসি সম্প্রচার আইন ভেঙেছে।

এফসিসির নিয়ম অনুযায়ী, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো জরুরি সতর্কবার্তায় শব্দ কোনো অনুষ্ঠানে ব্যবহার করতে পারে না। মানুষ যাতে ওই শব্দ শুনে সত্যিকারের অ্যালার্ট ভেবে আতঙ্কিত হয়ে না পড়ে, সেজন্যই এ নিয়ম।   

জিমি কিমেল লাইভে প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যালার্টের টোন শোনানোর কথা স্বীকার করলেও এবিসি বলেছে, তারা ভেবেছিল এই অ্যালার্টের টোন বাজানোর ওপর কোনো বিধিনিষেধ নেই।    

ওয়াল্ট ডিজনির মালিকানাধীন এই টেলিভিশন স্টেশন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা নিয়ম মেনে চলার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বিষয়টা ‘মিটে যাওয়ায়’ তারা খুশি।  

এফসিসি জানিয়েছে, এবিসি ওই টোন আর ব্যবহার না করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ওই টোন বাজানোয় এএমসি নেটওয়ার্ড ১ লাখ ৪ হাজার, এএমসি ৬৮ হাজার এবং ডিসকোভারি ৬৭ হাজার ডলার জরিমানা দিতে সম্মত হয়েছে।